পতাকা একাত্তর
বাংলাদেশের
মুন্সিগঞ্জ শহরের দক্ষিণ কোটগাঁও এলাকার লিচুতলায় স্থাপিত ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন পতাকা শোভিত ভাস্কর্য। ভাস্কর্যের দক্ষিণ ও
পশ্চিম পাশে চলে গেছে প্রশস্ত দুটি রাস্তা। দক্ষিণ পাশে মুন্সিগঞ্জ জেলা আদালত, উত্তরে নির্মাণাধীন
প্রবীণ পার্ক।
এই ভাস্কর্যে রয়েছে মুষ্টিবদ্ধ ছয়টি হাতের চারটি ধরে রাখা পতাকাদণ্ড। এই দণ্ডের
মাথায় উড়ছে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত ঐতিহাসিক
পতাকা। ভাস্কর্যে ছয়টি হাত হলো- ছয় দফা দাবির প্রতীক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সনদ
হিসেবে সেই ছয় দফাকেও এই পতাকা ভাস্কর্যের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। ছয়টি হাত ছয় দফা
দাবির একেকটি প্রতীক।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ঘাটশীলার ভাস্কর ইমরান হোসেনের নকশায়
ভাস্কর্যটির নির্মাণের
কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে। এর আর্থক
সহযোগিতা করেছে জেলা
প্রশাসকের উদ্যোগে স্থানীয় বিশিষ্টজন ও বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান।
প্রথমে পুরান ঢাকার চকবাজারে ভাস্কর্যের ছাঁচগুলো তৈরি করা হয় এবং প্রায়
দুই মাস ধরে সেখানে মাটিতে নকশার কাজ করা হয়। পরে প্লাস্টারের মাধ্যমে ওই জায়গায়
ছাঁচ নির্মাণ করা হয়। ফেব্রুয়ারির মাসের প্রথম দিকে এই ছাঁচ মুন্সিগঞ্জে এনে ঢালাইয়ের কাজ
করা হয়।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২রা মার্চ জাতীয় পতাকা দিবস
উদ্যাপনের দিনটিতে উদ্বোধন করা হয়েছে এটি। উল্লেখ্য,ভাস্কর্যের নামকরণ
করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক আলমগীর টুলু।