শহিদমিনার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের প্রায় কেন্দ্রস্থল তথা কলা ও
মানবিকী অনুষদের সামনে
স্থাপিত শহিদ মিনার।
এই শহীদ মিনারের নকশা করেছেন স্থপতি রবিউল হোসাইন। এটি নির্মাণে চুনাপাথর, সিমেন্ট,
বালি, ব্ল্যাক আইড, মডেলিং ক্লে প্রভৃতি সামগ্রী ব্যবহার করা হয়।
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলন ও ’৭১ খ্রিষ্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক হিসেবে
এই স্মৃতিসৌধটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার
মুস্তাহিদুর রহমান ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে শহীদ মিনারটি
উদ্বোধন করেন উপাচার্য খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারিতে তিনি
প্রথম পুষ্প অর্পণ করেন।
এই শহিদ মিনারের মূল স্তম্ভটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। এই ভাগগুলো হলো- বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি, মাটি-মানুষ, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক মুক্তি, গণতান্ত্রিক চেতনা প্রভৃতি বিষয়।
ভাস্কর্যটির ভূমি থেকে ৭১ ফুট উচ্চতার তিনটি স্তম্ভ রয়েছে, যা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে
সংঘটিত স্বাধীতাযুদ্ধের বৎসরগত প্রতীক। ত্রিভূজাকার তিনটি স্তম্ভের প্রতিটির ব্যাস
৫২ ফুট। এই পরিমাপ ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলনের প্রতীক। এই ৫২ ফুট ব্যাসের
স্তম্ভের নিচে রয়েছে ৮টি ধাপ। এই আটটি ধাপ হলো- আটটি আন্দোলনের বৎসরগত প্রতীক। এই
বৎসরগুলো হলো- ১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০ ও ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দ।