আজমিরীগঞ্জ
বাংলাদেশের
হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
এটি একটি হাওর বেষ্টিত ভাটি
বাংলার জনপদ। এই উপজেলার পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সুরমা-কুশিয়ারার মিলিত স্রোত
কালনি-কুশিয়ারা- ভেড়ামোহনা। বছরের অর্ধেক সময় জলমগ্ন থাকে এর অধিকাংশ এলাকা। এর
উত্তরে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলা, পূর্বে ও দক্ষিণে বানিয়াচং উপজেলা এবং
পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলা।
জেলা সদর হতে এই উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৪০
কিলোমিটার।
এর আয়তন ২২৩.৯৮ বর্গ কিমি।
কথিত আছে সুফী সাধক হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী
আজমিরী-এর সুযোগ্য শিষ্য সৈয়দ মোহাম্মদ ইসহাক চিশতী প্রায় দেড় শতাব্দী পূর্বে
আজমির শরীফের প্রতিনিধি হিসাবে এ প্রাচীন জনপদে ইসলাম ধর্মের প্রচার জন্য আসেন।
তাঁর প্রভাবে এই অঞ্চলে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। পরবর্তী সময়ে আজমিরী এই
প্রতিনিধির সম্মানার্থে সরকারী গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এ উপজেলার নাম
আজমিরীগঞ্জ করা হয়। এই অঞ্চলের অন্যতম দর্শনীয় স্থান ইসহাক চিশতী'র মাজার এবং
আজমিরীগঞ্জ থানার পশ্চিম পাশে অবস্থিত
আজমিরীবাবার মাজার।
আজমিরিগঞ্জ থানাকে উপজেলায়
রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে। এর ইউনিয়ন ৫টি, মৌজা ৬৬টি, গ্রাম ১২৮টি। এর
ইউনিয়নগুলো হলো−
আজমিরীগঞ্জ
সদর, বদলপুর, জলসুখা, কাকাইলছেও ও শিবপাশা।
এই উপজেলার
প্রধান নদীগুলো হলো কালনী, কুশিয়ারা, ভেড়ামোহনা। এছাড়া বিল আছে ৪টি।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ১৬ই নভেম্বর, পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় ১৮ ঘ্ণ্টা সম্মুখযুদ্ধে জগৎজ্যোতি দাস শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী এ উপজেলার ১১ জন গ্রামবাসীকে লাইনে দাঁড় করিয়ে হত্যা করে।