যমুনা
এই নামে বাংলাদেশ ও ভারতে বশ কয়েকটি
নদী
আছে।
১.
বাংলাদেশের একটি প্রধান
নদী।
১৭৮৭ সালের বন্যার সময় নদীটি ব্রহ্মপুত্র নদের মূল স্রোত থেকে পৃথক হয়ে যমুনা নামে
দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়েছে।
ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রহ্মপুত্রের এই বিভাজন সম্পন্ন হয়েছিল।
এর অপর শাখা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে দক্ষিণ-পূর্ব
দিকে প্রবাহিত হয়েছে।
আর মূল স্রোতটি বাংলাদেশের বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে যমুনা নাম ধারণ করে গোয়ালন্দের
কাছে
পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে।
এরপর
পদ্মা
ও যমুনার মিলিত স্রোত
পদ্মা
নাম ধারণ করে প্রবাহিত হয়েছে।
পরে চাঁদপুরের কাছে এই
পদ্মা
নামক পদ্মা-যমুনার মিলিত স্রোতধারা মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়ে
মেঘনা নামে
বঙ্গোপসাগরে
পতিত হয়েছে।
এই নদীর উপর তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধ বহুমুখী সেতু।
২.
আত্রাই
নদীর একটি উপনদী।
বাংলাদেশের রংপুরের ৩০ মাইল পশ্চিম দিকে উত্তর-পশ্চিমে উৎপন্ন হয়ে,
রাজশাহীর প্রায় ২৮ মাইল উত্তর-পূর্বে
আত্রাই
নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।
৩.
জলঙ্গী নদীর একটি শাখা বিশেষ।
এটি গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের প্রধান নদী।
রাজশাহীর ১০ মাইল দক্ষিণ দিকে দক্ষিণ-পূর্ব জলঙ্গী
নদী
থেকে পৃথক হয়ে দক্ষিণ
চুয়াডাঙ্গা,
বনগাঁও,
বসিরহাট,
টাকি,
দেবহাটা ও কালীগঞ্জের মধ্য দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে
বঙ্গোপসাগরে
পতিত হয়েছে।
এই নদীটি কোথাও কোথাও বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সীমান্ত রেখা হিসাবে নির্দেশিত হয়েছে।
৪.
উত্তর ভারতের একটি নদী বিশেষ।
এর অপর নাম কালিন্দী।
এই নদীটির উৎপত্তিস্থল সমুদ্রগর্ভতল থকে প্রায় ১০৮৪৯ ফুট উচ্চতায়।
এবং প্রবাহের দূরত্ব প্রায় ৮৬০ মাইল।
উৎপত্তি স্থল থেকে প্রায় ৯৫ মাইল পর হিমালয়ের শিবালিক পর্বত অতিক্রম করে নদীটি
সাহারনপুর জলার ফায়জাবাদের সমতল ভূমিতে প্রবেশ করেছে।
নদীটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে পাঞ্জাব,
দিল্লী ও উত্তর প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্রয়াগ বা এলাহাবাদের কাছে গঙ্গা
নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।
এই নদীর তীরে হিন্দুদের তীর্থস্থান মথুরা ও বৃন্দাবন অবস্থিত।
বিখ্যাত আগ্রার তাজমহল এই নদী তীরেই অবস্থিত।
সূত্র :
বাংলা বিশ্বকোষ (১ম-৪র্থ খণ্ড)। নওরোজ কিতাবিস্তান।
শিশু বিশ্বকোষ (তৃতীয় খণ্ড)। মাঘ, ১৪০৩, জানুয়ারি ১৯৯৭।