নাৎসি দলের প্রতীক

নাৎসি দল
জার্মানের একটি রাজনৈতিক দল।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে, জার্মানীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এই অবস্থায় জার্মানির রাজনৈতিক অঙ্গন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে, জার্মানির ব্রেমেন-এ Freien Arbeiterausschuss für einen guten Frieden (Free Workers' Committee for a good Peace) নামক একটি শ্রমিকদল গঠিত হয়। তৎকালীন জার্মানীর এ্যান্টন ড্রেক্সলার (Anton Drexler) নামক একজন জাতীয়তাবাদী নেতা মিউনিখে এই দলের একটি শাখা অফিস খোলে মিউনিখে। এই শাখার নাম রাখা হয়েছিল Committee of Independent Workmen। সেসময়ে মিউনিখে একটি রাজনৈতিক দল ছিল Fatherland Party।  ড্রেক্সলার এই দলের সদস্য ছিলেন।

নাৎসি দলের পতাকা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানী হেরে যাওয়ার পর, ড্রেক্সলার এবং অন্যান্য জাতীয়তাবাদী নেতারা 'ভার্সাই চুক্তি'র তীব্র বিরোধিতা করে। এরই সূত্রে ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে ডেক্সলার একটি নতুন দল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জানুয়ারিতে তিনি একটি দল গঠন করেন এবং নাম দেন -"German Socialist Worker's Party" (জার্মান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক দল)।

১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে
অ্যান্টন ড্রেক্সলারের সমর্থনে
হিটলার এই দলের প্রচারণার দায়িত্ব পান। এই কাজটি হিটলার  অসাধারণ কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। দলের প্রচারণার জন্য তিনি গণসংযোগ এবং লিফলেট এবং জনসভার ব্যবস্থা করেন। এই বৎসরের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ২০০০ লোকের সভা অনুষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। এই সময় ২৫দফা দাবি পেশ করেন। এই দাবির মধ্য দিয়ে দলটি একটি শক্তিশালী অবস্থানে চলে যায়। এই দাবি অনুসারে দলটি আর্যজাতির জন্য নিবেদিত হয়। এছাড়া পুজিবাদ এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠে। যদিও সমাজতন্ত্রের কথা এই দলের মূল বক্তব্য ছিল, কিন্তু মার্ক্সবাদের অনুকূলে তা ছিল না। এই সূত্রে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই দলের নতুন নাম দেওয়া হয়। Nationalsozialistische Deutsche Arbeiterpartei (National Socialist German Workers Party – NSDAP)

১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মিউনিখে প্রায় ৬০০০ লোকের জনসভায় ভাষণ দিয়ে জনগণকে উজ্জীবিত করেন। ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে তিনি এবং তাঁর রাজনৈতিক গুরু এখার্ট (Eckart) দলের জন্য তহবিল-উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁদের এই কার্যক্রম শুরু হয় বার্লিন থেকে। এই সময় দলের কিছু পরিচালক German Socialist Party (DSP)-এর সাথে তাঁদের দলকে একত্রিত করার উদ্যোগ নেন। ১১ই জুলাই হিটলার মিউনিখে ফিরে, এর তীব্র বিরোধিতা করেন এবং দলত্যাগ করেন। ইতিমধ্যে দলের ভিতর হিটলারের জনপ্রিয়তা এতটাই বৃদ্ধি পয়েছিল যে, সে সময় হিটলার দলত্যাগের কারণে মূল দলই ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। ফলে হিটলারের কাছে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য দলের পক্ষ থেকে বলা হয়। হিটলার এক ঘোষণায় জানান যে দলের চেয়ারম্যান ড্রেক্সলার (Drexler)-কে পদত্যাগ করতে হবে এবং মিউনিখে দলের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। হিটলারের এই প্রস্তাবে দলের পরিচালক পরিষদ রাজি হলে, তিনি ২৬ জুলাই পুনরায় দলে যোগদান করেন। এই সময় তাঁর দলের নতুন সদস্য সংখ্যা হয় ৩৬৮০। এই সময় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। কিন্তু তিনি সুকৌশলে এই সকল বিরুদ্ধবাদীদের মুখ বন্ধ করে দেন। ২৮ জুলাইয়ে দলের নির্বাচনে দলের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে তিনি অবিশ্বাস্য ভোটে জয় লাভ করেন। উল্লেখ্য এই নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে মাত্র এক ভোট পড়েছিল। এরপর থেকে নিয়মিত ভাষণ এবং জনসংযোগ করে দলের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে দলকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেন। দলের ভিতর একমাত্র জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠার সূত্রে তিনি ফুয়েরার (Führer, দলনেতা) নামে অভিহিত হন।

১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে হিটলারের নেতৃত্বে এই দলটি একটি আক্রমণাত্মক দলে পরিণত হয়। এই সময় বিপক্ষ দলগুলোকে বাক্যের দ্বারা আঘাতের পাশাপাশি দৈহিক আক্রমণ চালানো শুরু করে। একই সাথে জার্মান জাতি এবং আর্যজাতিসত্তার রক্ষার জন্য এই দলটি সক্রিয় হয়ে উঠে। একই সাথে এই দল ইহুদী-বিদ্বেষী মনোভাব তীব্রভাবে ব্যক্ত করা শুরু করে। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ভিতর এই দলটি জার্মানির উল্লেখযোগ্য দলে পরিণত হয়।

১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে ইতালির মুসেলিনি জাতীয় ফ্যাসিস্ট দলের মাধ্যমে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতায় আসেন। হিটলার মুসেলিনির ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একই কায়দায় জার্মানির ক্ষমতা দখলের উদ্যোগ নেন। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে ফ্রান্স জার্মানির শিল্প সমৃদ্ধ রাঢ় অঞ্চল দখল করে নেয়। এর ফলে জার্মানিতে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসে। এই সময় জার্মানির  উইলহেম কুনো (Wilhelm Cuno)-র সরকার পদত্যাগ করে। এই সময় জার্মান কমুনিষ্ট পার্টি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। এর ফলে নাৎসি পার্টির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। এই সময় এই দলের নিবন্ধনকৃত সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ায় ২০,০০০। এই সময় এই দল সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের উদ্যোগ নেয়। এই সময় নাৎসি দলের সদস্য না হয়েও প্রাক্তন জেনারেল এনরিখ লুডেনডর্ফ (Erich Ludendorff) হিটলারকে সহায়তা করে। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জানুয়ারি প্রথম দলীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠান উপলক্ষে শোভা যাত্রা হয় মিউনিখে। ৮ই নভেম্বর একটি দেশপ্রেমী শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে মিউনিখে এই অভ্যুত্থানের সূচনা করে। এই অভ্যুত্থানকে 'বিয়ার হল অভ্যুত্থান' (Beer Hall Putsch) নামে অভিহিত করা হয়। এই অভ্যুত্থানের সময় জার্মানির প্রাক্তন যোদ্ধাদলের Reichswehr স্থানীয় সেনাদল তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে। এর ফলে অভ্যত্থানটি সফলতা লাভে ব্যর্থ হয়। ৯ নভেম্বর নাৎসি দলের শোভাযাত্রা শুরু হলে, সেনাবাহিনী গুলি চালায় এবং ১৬ জন নাৎসি কর্মী নিহত হন। এই সময় হিটলার, জেনারেল এনরিখ লুডেনডর্ফ এবং এর সাথে যুক্ত বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে অনুষ্ঠিত জার্মান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাৎসি পার্টি ৩২টি আসন লাভ করে। ১৯,১৮,৩০০ ভোটের মাত্র ৬.৫% ভোট লাভ করেছিল এই দল।

১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত হিটলার বন্দী থাকেন। এই সময় তিনি জেলে বসে রচনা করেন মেইন ক্যাম্প (Mein Kampf ) নামক গ্রন্থ।

নাৎসি দলের শোভাযাত্রার তালিকা ১৯২৩-১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।
  • ২৭ জানুয়ারি, ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ। মিউনিখে অনুষ্ঠিত প্রথম দলীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠান উপলক্ষে শোভাযাত্রা হয়। 
  • ১ সেপ্টেম্বর, ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ। নুরেমবার্গে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রা নাম ছিল 'জার্মান ডে রিলে'।
  • ৪ জুলাই, ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ। দলের দ্বিতীয় কংগ্রেস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ওয়েনমার-এ। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে শোভাযাত্রা হয়।
  • ২০শে আগষ্ট, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ। দলের তৃতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠান উপলক্ষে শোভাযাত্রা হয় নুরেমবার্গ-এ। এই শোভাযাত্রাকে পরে দলীয় প্রচারণামূলক চলচ্চিত্র হিসেবে প্রকাশ করা হয়। এই ছবিটির নাম  Eine Symphonie des Kampfwillens
  • ২রা আগষ্ট, ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দ। নুরেমবার্গে Day of Composure নামে দলীয় চতুর্থ কংগ্রেস উপলক্ষে শোভাযাত্রা হয়। এই শোভাযাত্রাভিত্তিক প্রচারণামূলক চলচ্চিত্র Der Nürnberger Parteitag der NSDAP তৈরি হয়।
  • ৩০-আগষ্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩। নুরেমবার্গর দলীয় ৫ ক্ংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এর নাম দেওয়া হয়েছিল "Rally of Victory" (Reichsparteitag des Sieges)। এই শোভাযাত্রাভিত্তিক  Leni Riefenstahl film Der Sieg des Glaubens-নামক প্রচারণামূলক চলচ্চিত্র তৈরি হয়
  • ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫-১০ সেপ্টেম্বর নুরেমবার্গে দলের ষষ্ঠ পার্টি কংগ্রেস হয়।
  • ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ১০-১৬ সেপ্টেম্বর নুরেমবার্গে দলের ষষ্ঠ পার্টি কংগ্রেস হয়। এর নামকরণ করা হয়েছিল Rally of Freedom" (Reichsparteitag der Freiheit)। আর এই বৎসরকে ঘোষণা করা হয়েছিল 'স্বধীনতা বর্ষ'।
  • ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে নুরেমবার্গে অনুষ্ঠিত হয় অষ্টম দলীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠান। এর নাম ছিল "Rally of Honour" (Reichsparteitag der Ehre)
  • ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে নুরেমবার্গে অনুষ্ঠিত হয় নবম দলীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠান। এর নাম ছিল "Rally of Labour" (Reichsparteitag der Arbeit)
  • ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে নুরেমবার্গে অনুষ্ঠিত হয় দশম দলীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠান। এর নাম ছিল"Rally of Greater Germany" (Reichsparteitag Großdeutschland
  • ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে নুরেমবার্গে অনুষ্ঠিত হয় একাদশ দলীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠান। এর নাম ছিল Rally of Peace" (Reichsparteitag des Friedens)

১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে হিটলার জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন। ডিসেম্বর মাসে জার্মানির জাতীয় নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে নাৎসি দল মাত্র ১৪টি আসন পায়। কিন্তু ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে দলের সদস্যদের দুটি শ্রেণিতে বিভাজিত করেন। এর একটি দলে ছিল পরিচালন দল অপরটি ছিল সাধারণ সদস্য। ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে তিনি হিটলারের দেহরক্ষী বাহিনী হিসেবে এসএস দল গঠন করেন। এই দলের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান হিমলার (Himmler)। অবশ্য এই এসএস-কে দলের পক্ষ থেকে সহায়ক দল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই সময় দলের ডেপুটি লিডার ছিলেন রুডলফ হেস। কিন্তু দলের ভিতরে তাঁর কোনো ক্ষমতাই ছিল না। সে সময় হিটলারই ছিলেন দলের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এর পরের সারিতে ছিলেন হিমলার, গোয়েবলস এবং গোয়েরিং।

১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে দলের তৃতীয় শোভাযাত্রা হয় ওয়েনমার-এ। এই শোভাযাত্রায় ততটা অর্থবহ ছিল না। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের ২০শে আগষ্ট নুরেমবার্গে দলের তৃতীয় কংগ্রেস উপলক্ষে শোভাযাত্রা হয়। এই শোভাযাত্রায় বিপুল মানুষের সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। তারপরেও ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় নির্বাচন নাৎসি দল ৪৯১টি আসনের মধ্যে মাত্র ১২টি আসন লাভ করে। এরপর এই দলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য হিটলার উদ্যোগ নেন। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে দলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১,৩০,০০০। এই বৎসরে নুরেমবার্গে অনুষ্ঠিত হয় দলের চতুর্থ কংগ্রেস। এই কংগ্রেস উপলক্ষে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে জার্মানির অর্থনীতি বিধ্বস্ত দশায় পৌঁছায়। এই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে নাৎসি দল ইহুদিদের দায়ী করে প্রচারণা চালায়। এই বৎসরের জুলাই মাসের জাতীয় নির্বাচনে নাৎসি দল ১০৭টি আসন লাভ করে। ১৯৩১-৩২ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে জার্মানির রাজনৈতিক সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করে। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুলাই প্রুশিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটে। আর এর কয়েকদিন পরে জার্মানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে নাৎসি এবং কেডিপি দল ৫২% ভোট পায়। এর ভিতরে নাৎসি দল পায় ৩৭.৪% ভোট। ফলে নাৎসি দল নিজেদেরকে শক্তিশালী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়।

নাৎসি দলের নির্বাচন ফলাফল

তারিখ মোট ভোট ভোটের শতকরা হার রাইখস্ট্যাগে প্রাপ্ত আসন (মোট আসন ৪৯১)
মে ১৯২৪ ১,৯১৮,৩০০ ৬.৫ ৩২
 ডিসেম্বর ৯০৭,৩০০ ৩.০ ১৪
মে ১৯২৮ ৮১০,১০০ ২.৬ ১২
সেপ্টেম্বর ১৯৩০ ৬,৪০৯,৬০০ ১৮.৩ ১০৭
জুলাই ১৯৩২ ১৩,৭৪৫,০০০ ৩৭.৩ ২৩০
নভেম্বর ১৯৩২ ১১,৭৩৭,০০০ ৩৩.১ ১৯৬
মার্চ ১৯৩৩ ১৭,২৭৭,১৮০ ৪৩.৯ ২৮৮

এই নির্বাচনের জয়ের সূত্রে হিটলার জার্মানীর চ্যাঞ্চেলর হন। তাঁর এই পদে অভিষেক হয় ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জানুয়ারিতে। কিন্তু ২৭ ফেব্রুয়ারিতে রাইখস্ট্যাখ ভবনে আগুন লাগে। ধারণা করা হয়, হিটলারের নির্দেশে নাৎসি দলের সদস্যরাই এই আগুন দিয়েছিল। এই আগুন দেওয়ার জন্য হিটলার কমুনিষ্ট পার্টির উপর দোষারোপ করে এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পল ভন হিন্ডেনবার্গ-এর চাপ প্রয়োগ করে, দেশে জরুরী আইন জারী করা হয়। এই জরুরী আইনের আওতায়, জার্মানি কমুনিষ্ট পার্টির অসংখ্য কর্মী এবং সাংসদের গ্রেফতার করা হয়। ফলে জার্মান পার্লামেন্টে নাৎসি দল নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠ দলে পরিণত হয়। ২৩ মার্চ Enabling Act of 1933 পাশ হয়। এবং এর ভিতর দিয়ে হিটলার জার্মানির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠেন। ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির আত্মসমর্পণের পর, এই দল নিষিদ্ধ হয়ে যায়।


সূত্র:
http://bdnews২৪.com/bangla/details.php?cid=২&id=১৯৯৯১৫
http://en.wikipedia.org/wiki/Humayun_Ahmed