আধুনিককালে ভূপ্রকৃতি অনুসারে
ভারতবর্ষকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগদুটি হলো
আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্য।
- আর্যাবর্ত: ভারতের হিমালয় থেকে দক্ষিণের নর্মদা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে
আর্যবর্ত বলা হয়।
- দাক্ষিণাত্য : ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের তাপ্তি ও কৃষ্ণা নদীর মধ্যবর্তী
অঞ্চলকে দাক্ষিণাত্য বলা হয়।
আর্যবর্তকে আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে, তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগ
তিনটি হলো
- উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল: এই অঞ্চলের ভিতরে রয়েছে হিমালয় সংলগ্ন
কাশ্মীর, নেপাল, ভূটান, সিকিম-সহ পার্বত্য এলাকা। এই অঞ্চলে রয়েছে খাইবার,
বোলান-এর মতো বিখ্যাত গিরিপথ। মূলত এই গিরিপথ ধরে, আর্য, পারশিক, গ্রিক, শক,
কুষাণ, তুর্কি প্রভৃতি জাতি ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিল।
- সিন্ধু-গাঙ্গেয় উপত্যাকা : হিমালয়ের পাদদেশের দক্ষিণ থেকে
মধ্যভারতের মালভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলটিকে সিন্ধু-গাঙ্গেয় উপত্যাকা নামে
অভিহিত হয়ে থাকে। পঞ্চনদ, গঙ্গা এবং যমুনা এই অঞ্চলের ভূমিকে উর্বরতা দান
করেছে। এই অঞ্চলেই ছিল প্রাচীন ভারতের প্রাণকেন্দ্র। এই অঞ্চলে আধিপত্য
বিস্তারের জন্য নানা রকম যুদ্ধ-বিগ্রহ ঘটেছে।
- মধ্যভারতের মালভূমি: বিন্ধ্যাপর্বত থেকে সিন্ধু-গাঙ্গেয় মাঝামাঝি
স্থানে এই অঞ্চলটি অবস্থিত। আর্যদের আক্রমণে এই অঞ্চলের আদিবাসিরা এই অঞ্চলের
বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।