ভারতবর্ষ/ভারত
উপমহাদেশ
ইংরেজি :
Indian subcontinent।
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অবস্থিত মহাদেশতুল্য একটি অঞ্চল। এর উত্তরে অবস্থিত
হিমালয় পর্বতমালা চীন-সহ অন্যান্য এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলসমূহকে পৃথক
করে রেখেছে। এর উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে সুলেমান ও হিন্দুকুশ পর্বতমালা এবং
উত্তর-পূর্বে আরাকান পর্বতমালা। আর এর পশ্চিম, দক্ষিণ ও পূর্বে রয়েছে ভারত
মহাসাগর, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর। এর পূর্বসীমান্তে মায়ানমার, উত্তরে
চীন,
পশ্চিমে ইরান ও
আফগানিস্তান।
মোগল শাসনামলে আফগানিস্তান ভারতের অংশ ছিল। এই বিচারে আফগানিস্তানকে এই উপমহাদেশের অন্তর্গত একটি অঞ্চল হিসেবে অনেকে বিবেচনায় রাখতে চান। আবার দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, উত্তরের পার্বত্য দেশ নেপাল, ভুটান তিব্বতকেও বৃহত্তর ভারত উপমহাদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে অবস্থিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভারত প্রজান্ত্রের অংশ হিসেব, এই দ্বীপপুঞ্জদুটিকে ভারতবর্ষের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
উত্তরপূর্ব সীমান্তের আসাম এবং বঙ্গদেশকে মায়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। ১৮২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মায়ানমার ভারতের বাইরে ছিল। ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মায়ানমারের কিছু অংশ বঙ্গদেশের সাথে যুক্ত করে। এরপর ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মায়ানমার ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় ছিল। এরপর মায়ানমার পৃথক রাজনৈতিক অংশ হিসেবে স্বীকৃত হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত প্রজাতন্ত্র, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপকে ভারত উপমহাদেশের অংশ হিসেব বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
ভারতবর্ষের ভূপ্রকৃতি
প্রাচীন সাহিত্যে ভারতের ভূপ্রকৃতিকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ভাগে ভাগ করা
হয়েছিল। এই ভাগগুলো হলো−
আধুনিককালে ভূপ্রকৃতি অনুসারে ভারতবর্ষকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগদুটি হলো আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্য।
এই দুটি ভাগের সাথে কতিপয় ঐতিহাসিকরা আরও একটি অঞ্চল যুক্ত করেছেন। এই অঞ্চলকে বলা হয় সুদূর-দক্ষিণ অঞ্চল। এই অঞ্চলটি তুঙ্গভদ্রা নদী থেকে কুমারিকা অন্তরীপ পর্যন্ত বিস্তৃত।
ভারতবর্ষের
রাজবংশাবলীর কালানুক্রমিক সূচি