[দেখুন : সিন্ধু সভ্যতা ]১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ মার্শালের তত্ত্বাবধানে ময়েঞ্জোদারো ও হরপ্পায় খনন কাজ শুরু হয়। এই অভিযানের সূত্রে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে প্রত্নতত্ত্ববিদ্ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় সিন্ধুনদের পশ্চিম তীরে ময়েঞ্জোদাড়ো স্তূপকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থল হিসাবে সুনিশ্চিতভাবে ঘোষণা দেন। তিনি অবশ্য এই স্থানকে বৌদ্ধ বিহারের ধ্বসস্তূপ ভেবেছিলেন। একই বৎসরে রায়বাহাদুর দয়ারাম সাহানী হরপ্পাতে প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ বলে অনুমান করেন।
![]() |
|
হরপ্পা নগরীর ধ্বংসাবশেষ। /td> |
| ১. সাধারণ বাড়ি : সমাজের সাধারণ
মানুষ (সাধারণ শ্রমজীবী, সাধারণ কৃষক ইত্যাদি) এই জাতীয় বাড়িতে বসবাস করতো।
এই বাড়ি গুলো নিতান্তই ছোট ছোট ছিল। এগুলো ছিল মূলত এক বা দুই কক্ষের বাড়ি। ২. অপেক্ষাকৃত বড় বাড়ি : সুপরিসর এই বাড়িগুলোতে থাকতো ধনী বণিক, সরকারি কর্মকর্তারা এবং অভিজাতশ্রেণির কিছু মানুষ। ৩. বড় সরকারি বাড়ি : সম্ভবত উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ি, প্রশাসনিক কার্যালয়। |
![]() |
|
হরপ্পার গণমানুষের ব্যবহারের জন্য তৈরি কূপ |

মাটি,
ব্রোঞ্জ, তামার কুটিরশিল্প গড়ে উঠেছল হরপ্পায়। এরা তৈরি করতো নানা রকমের মাটির
পাত্র। এসব পাত্রের গায়ে অঙ্কিত থাকতো চমৎকার সব নকশা। ব্রোঞ্জ বা তামার তৈরি
কুঠার, বর্শা, ছোরা, তীর- ধনুক, গুলতি, ঢাল ইত্যাদি হরপ্পার অনেক জায়গায়ই পাওয়া
গেছে। আর পাওয়া গেছে চমৎকার সব মাটির পুতুল। নৌপথে এসব সামগ্রী অন্য নগরে রফতানী
করতো এমনটাই অনুমান করা যায়।
হরপ্পার
প্রাণিকূল হরপ্পায় প্রচুর সিলমোহর পাওয়া গেছে। যাতে
বিভিন্ন প্রাণির ছবি মুদ্রিত আছে। এই সূত্রে ধারণা করা যায়, হরপ্পাবাসীদের কাছে
কুঁজবিশিষ্ট ষাঁড়, মহিষ,ভেড়া, হাতি এবং উট ছিল। এছাড়াও হরপ্পায় নানা ধরনের মাটির
খেলনার ছাঁচ পাওয়া গিয়েছে। সেইও সাথে বেশ কিছু প্রাণীর কঙ্কাল পাওয়া গেছে। এই
সূত্রে অনুমান করা যায়, হরপ্পাবাসী বাঘ, সিংহ, গরু, কুকুর, গাধা, বাঁদর এবং খরগোশ
এসব পশুর সাথে পরিচিত ছিল। হরপ্পাসভ্যতায় ঘোড়ার পায়ের ছাপ থেকে অনুমান করা হয়েছে,
এরা ঘোড়ার ব্যবহার জানতো।
![]() |
|
হরপ্পায় পাওয় স্বস্তিকা |
|
|
|
ময়েঞ্জোদারো-তে প্রাপ্ত রাজমূর্তি |
![]() |
|
হরপ্পায় প্রাপ্ত মাতৃদেবী |