ইলোরা
ভারত প্রজাতন্ত্রের মহারাষ্ট্র নামক প্রদেশের আওরঙ্গবাদ জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন স্থল। স্থানীয়ভাবে ইলোরাকে ভেলুরা বা এলুরা বলা হয়। ধারণা করা হয়, প্রাচীন এলাপুরা নাম থেকে এই সকল নামের উৎপত্তি হয়েছে। বর্তমানে এই স্থানটি ইলোরা নামেই সর্বাধিক পরিচিত।
আওরঙ্গবাদ জেলা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৮.৬ কিলোমিটার) দূরে এই স্থানটি অবস্থিত।
এই স্থানের চরনন্দ্রী পাহাড়ের ৩৪টি গুহায় হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের মন্দির রয়েছে।
মূলত এই পাহাড়টি গ্রানাইড পাথরের তৈরি। এই পাহাড়ে গা কেটে কেটে মন্দিরগুলো তৈরি
হয়েছিল। গ্রানাইড পাথরে
এর ভিতরে হিন্দু ধর্মের ১৭টি, হিন্দু ধর্মের ১২টি এবং ৫টি জৈন ধর্মের মন্দির রয়েছে।
ধারণা করা হয়, কালাচুরি, চালুক্য ও রাষ্ট্রকুট শাসনামলে এই মন্দিরগুলো নির্মিত
হয়েছিল।
ইলোরা উল্লেখ পাওয়া যায় আরব ভূগোলবিদ আল মাসুদি, ঐতিহাসিক ফিরিস্তা, নিকোলাই মানুচ্চি, চার্লস মালে। কালের পরিক্রমায় এই পাহাড়ি এলাকা লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গিয়েছিল। সমগ্র অঞ্চল ঢাকা পড়ে গিয়েছিল গভীর অরণ্যে। ১৮১৯ খ্রিষ্টাব্দে এক ইংরেজ শিকারি বাঘ শিকার করতে গিয়ে এই গুহাগুলোর সন্ধান পান। তারপর থেকে নতুনভাবে এই গুহাগুলো সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে।
গুহা ও মন্দির পরিচিত
১- ১২ সংখ্যক গুহা: বৌদ্ধগুহা
ইলোরার ১ থেকে ১২ সংখ্যক গুহাগুলো বৌদ্ধ গুহা। এই বারোটি গুহায় বুদ্ধমূর্তির সংখ্যা মোট ১৭৯টি। এর মধ্যে ১৩টিতে বুদ্ধ পদ্মের উপর দাঁড়িয়ে, ৫২টিতে প্রলম্বপদ আসনে ও ১১২টায় পদ্মাসনে আসীন। মূর্তিগুলিতে ধর্মচক্রপ্রবর্তন, ভূমিস্পর্শ এবং ধ্যান-তিনটি মুদ্রাই ঘুরিয়েফিরিয়ে রয়েছে।
দশ সংখ্যক গুহার বৌদ্ধমূর্তি |
গুহা ১: এই গুহাটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি সবচেয়ে পুরানো গুহা।
গুহা ২: এই গুহাটি সম্ভবত
চৈত্যমন্দির ছিল।এই গুহার বাইরের দরজার দুপাশে কুবের আর হারীতি। আর হলের
দরজায় দুপাশে অবলোকিতেশ্বর এবং বজ্রপাণি। চারটি মূর্তিই বিশাল। গর্ভগৃহে
সিংহের ওপরে সিংহাসনে ধর্মচক্রমুদ্রায় বুদ্ধ। ভিতরের ঘরের চার দেওয়ালে
চারটে দরজার পিছনে চারটে ছোট ঘর। প্রত্যেকটিতেই বুদ্ধমূর্তি। হলের
পিলারগুলো নীচ থেকে প্রথমে বর্গাকার, তারপর আটকোনা, সবার ওপরে খাঁজকাটা।
গুহা ৫: এই গুহাটি ১ সংখ্যক গুহার মতোই প্রাচীন। এই গুহায় দুই সারিতে মোট ২৪টা থাম আছে। দুটো থামের মাঝখানে একটা করে ছোটো কুঠুরি, সবমিলিয়ে ২০টা। ঘরের পুরো দৈর্ঘ্য বরাবর লম্বা দুটো পাথরের বেঞ্চ আছে। সম্ভবত এটি অতিথিশালা।
গুহা ৬: এই গুহাটিতে কোনও থাম নেই। বাঁদিকের দেওয়ালে রয়েছেন বৌদ্ধদেবী তারা, ডানদিকের দেওয়ালে তান্ত্রিক দেবতা মহাময়ূরী। স্তুপে খোদিত বুদ্ধমূর্তির সঙ্গে আছেন একজন পুরুষ আর একজন স্ত্রী সহচরদেবতা।
গুহা ১০: বৌদ্ধ চৈত্য। এই গুহাটি বিশ্বকর্মা মন্দির নামে পরিচিত। এই গুহাটি দেখতে অনেকটা গির্জার মত। এতে একটি বিশাল চৈত্য আছে। এর ছাদ এমন ভাবে খোদাইকৃত যে দেখতে অনেকটা কাঠের বিমের মত। এই গুহার ঠি মধ্যখানে একটি ১৫ ফুট লম্বা আসনকৃত বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। এই গুহাকে একটি বৌদ্ধ বিহার হিসেবেও বিবেচনা করা যায়। এই গুহায় আট ক্ষুদ্র কক্ষ রয়েছে। এর চারটি কক্ষ সামনের দেয়ালের সাথে লাগানো, বাকি চারটি কক্ষ পেছনের দেয়ালের সাথে লাগানো। এই গুহার সামনে একটি ক্ষুদ্র কক্ষসহ খোদাইকৃত স্তম্ভ আছে। সম্ভবত এই গুহাটি অন্যান্য বিহারের সরবরাহকৃত খাদ্য ভাণ্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হত। এখানে সারা বৎসরই ভিক্ষুরা থাকতেন এবং ধর্মানুষ্ঠানে এই গুহাটি ব্যবহৃত হতো।। স্থানীয় ছুতোরেরা এখানে নিয়মিত পুজো দিতে আসেন। মূল দরজার উপরের জানালাটি প্রায় সম্পূর্ণ গোল। খোদাই না করে স্তূপের পিছনে দিকের গড়নেও অদ্ভুত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বুদ্ধের দুই পা একসাথে মাটি ছুঁয়ে আছে। এটা একটা সম্পূর্ণ নতুন ভঙ্গি।
গুহা ১২: এই গুহাটি তিনতলা বৌদ্ধবিহার। প্রথম তলার কোনার মন্দিরে বুদ্ধ ও কিছু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। দোতলায় উঠেই একটা বিশাল হল। এর পিছনের দেওয়ালে মোট ১৩টি কুঠুরি। পুবদিকের মন্দিরে ভূমিস্পর্শমুদ্রায় বিশাল বুদ্ধ খোদিত রয়েছে। তিনতলায় মন্দিরে বুদ্ধের দুপাশে পদ্মমণি ও বজ্রপাণি। হলের পিছনের দেওয়ালে উত্তরদিকে সাত মানুষী বুদ্ধ এবং দক্ষিণে সাত দেব বুদ্ধ পাশাপাশি।
১৩- ২৯ সংখ্যক গুহা: হিন্দু গুহা
৭৫০-৯৭৫ খ্রিঃ রাষ্ট্রকূট রাজবংশের সময় হয় হিন্দু গুহাগুলো নির্মিত
হয়েছিল।
গুহা ১৩: এই গুহাটি ব্রাহ্মণ্য গুহা নামে পরিচিত।
গুহা: ১৪: এর নাম রাবণের বাসস্থল। রাষ্ট্রকুট দান্তিদুর্গা (৭৫৩-৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দ) শাসনামলে তৈরি। নামে পরিচিত এই গুহাটিতে থামঘেরা বড় উঠোন পেরিয়ে মন্দিরের ভিতরে শিবলিঙ্গ। উঠোনের দুপাশের গলিপথের পিছনের দেওয়ালে নানারকম শৈব মোটিফ। শিবের হস্তিদানবকে নিধণ করার মূর্তিটি অসাধারণ।
গুহা ১৫: এই মন্দিরটি দশাবতার মন্দির নামে পরিচিত। রাষ্ট্রকুট দান্তিদুর্গা (৭৫৩-৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দ) শাসনামলে তৈরি। একসময় এই গুহাটি বৌদ্ধ মন্দির ছিল। এই মন্দিরটির গঠনগত দিক থেকে ১১ ও ১২ সংখ্যক গুহার সাথে মিল আছে। একটাই পাথর কেটে মন্দিরের রূপ দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। গুহার শুরুতে প্রকাণ্ড একটা চাতাল আছে। তার মাঝখানে ছোট্ট মন্দির। মূল মন্দিরটি দোতলা। দেড়তলায় উঠে একটা খোলা জায়গা। দেওয়ালের গায়ে দেবদেবীর মূর্তি। আরও খানিকটা উঠে তিনদিক বন্ধ একটা বড় হলঘর। সারিসারি কারুকার্য করা থামগুলো হলের ছাদটাকে মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। উত্তর আর দক্ষিনের দেওয়ালে আশ্চর্য সব পৌরাণিক দৃশ্য খোদাই করা। দেয়ালের খিলান থেকে মেঝের উপরের অংশের একটি বিশাল স্থাপত্য কলা বিদ্যমান যা বিভিন্ন দৃশ্য দিয়ে সাজানো। এই দৃশ্যের মধ্যে বিষ্ণুর দশাবতার চেহারা অন্তর্ভূক্ত আছে।
গুহা ১৬: এই গুহাটি কৈলাশ
বা কৈলাশনাথ নামেও পরিচিত। রাষ্ট্রকুট দান্তিদুর্গা (৭৫৩-৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দ)
শাসনামলে তৈরি। অন্যমতে রাষ্ট্রকূট রাজা প্রথম কৃষ্ণের আমলে, ৭৫৭
থেকে ৭৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ভিতর এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল। কৈলাস মন্দিরই
প্রত্নতাত্ত্বিক খননে পাওয়া পৃথিবীর বৃহত্তম মনোলিথিক ভাস্কর্য। নকশাশৈলীর
জন্য একে কৈলাশ পর্বত নামে ডাকা হয়।
কৈলাস মন্দিরের অলঙ্কৃত স্তম্ভ |
তিনদিকে পাহাড়ের দেওয়ালের মাঝখানে
কৈলাস মন্দির। মন্দির ঘিরে রয়েছে পায়ে চলা পথ। এই পথ দিয়ে মন্দির প্রদক্ষিণ
করা যায়। এই পথটি প্রায় আট-দশ হাত চওড়া। মন্দিরের ডাইনে আর বাঁয়ে
পাহাড়ের গায়ে অনেকগুলো গুহার মতো ঘর রয়েছে, তারমধ্যেও অনেক মূর্তি আছে।
তিনদিকে পাথর কেটে খাদ তৈরি করে এই ৩০০ফুট লম্বা, ১৫০ফুট চওড়া, আর ১০০ফুট
উঁচু মন্দিরটি বার করা হয়। এরপর চুড়ো থেকে শুরু করে পাথর কাটতে কাটতে
শিল্পীরা নীচের দিকে নামতে থাকেন। একটাই মাত্র পাথরে একই সাথে গড়ে তোলা
হয়েছে চুড়োর সিংহ, ভিতের হাতি, প্রকাণ্ড হল, হলের সিলিং জুড়ে নটরাজ
মূর্তি।
পাহাড় থেকে বেরিয়ে আসা একটি মাত্র পাথর কেটে নির্মিত। এটিতে বহু হিন্দু
দেবতা এবং পৌরাণিক মূর্তি খোদাই করা আছে। এই খোদিত মূর্তিগুলোর মধ্য দিয়ে
অনুপম শিল্প সৌন্দর্য ও বলিষ্ঠ স্থাপত্য কর্মের এক অসাধারণ নিদর্শন পাওয়া
যায়। অষ্টম শতাব্দীতে রাষ্ট্রকূটদের রাজত্বকালে এই মন্দিরটি নির্মিত হয় এবং
হিন্দু দেবতা শিবের নামে উৎ্সর্গ করা হয়। মন্দিরটির সম্মুখভাগে একটি
উন্মুক্ত 'মণ্ডপ' আছে। এখানে বিশাল বিশাল হাতি ও চতুষ্কোণ স্তম্ভ নির্মিত
হয়েছে। হিন্দুদের ষণ্ড মূর্তিও এখানে স্থাপিত আছে।
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে শিবের
বাসস্থান কৈলাশ। এই মন্দিরের সাদা আস্তর রয়েছে এবং এর দ্বারা হিমালয়ের
কৈলাশ পর্বতের রূপ পাওয়া যায়। পাথর কেটে এমনভাবে এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে,
যা দেখে মনে হয় একটি বহুতল মন্দির। হিন্দুমন্দিরের চিরাচরিত বিন্যাস
অনুযায়ী মন্দিরটি পরপর পাঁচটা ভাগে বিন্যস্ত রয়েছে। এগুলো হলো গোপুর,
অর্ধমণ্ডপ, মণ্ডপ বা নাটমন্দির, জগমোহন, গর্ভগৃহ ও শিখর বা বিমান। বিভিন্ন
তলে অবস্থিত পাঁচটা ভাগের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে আছে সিঁড়ি বা করিডোর।
উচ্চতার তারতম্যে মন্দিরের দেওয়ালে তৈরি খালি অংশগুলি ভরিয়ে তোলা হয়েছে
নানা ভাস্কর্যে। কৈলাসের গোপুরাটি দোতলা, দক্ষিণ ভারতীয় শৈলীর। বাইরের
দিকের দেওয়ালে তিনটি মূর্তি-শিব, বিষ্ণু, আর অষ্টদিকপাল। ভিতরের দেওয়ালে
মহিষাসুরমর্দিনী, বিষ্ণু ও কামদেব। গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকলে প্রথমেই
বিখ্যাত গজলক্ষ্মী মূর্তি। তার পিছনে উঠোনের দুপাশে দুটো বিশাল মনোলিথিক
হাতি। হাতিদুটোর দুপাশে দুটো ধ্বজস্তম্ভ চৌদ্দ মিটার উঠে গেছে। একটু পিছনে
একটা ছোট্ট মন্দিরে তিন দেবী-গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী। শিব মন্দিরের ঐতিহ্য
অনুসারে প্রধান মন্দিরের সম্মুখভাগে পবিত্র ষাঁড় ও শিবের অনুচর 'নন্দী'র
মূর্তি আছে।
শিবমন্দিরের পাশে রয়েছে নন্দী মন্ডপ। নন্দী মণ্ডপ
১৬টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এর উচ্চতা ২৯.৩ মিঃ। নন্দী মণ্ডপে একটি
বিশাল আকৃতির পাথরের তৈরী হাতি রয়েছে। একটি পাথরের সেতু দিয়ে নন্দী মণ্ডপ ও
শিব মন্দিরের যোগাযোগ সাধিত হয়েছে।
উঠোনের দুদিক থেকে দুটো সিঁড়ি উঠে
গেছে মণ্ডপ বা নাটমন্দিরে। নাটমন্দিরের পাটাতনটি ৮ মিটার উঁচু। এটাই মূল
মন্দিরের প্রধানভাগের প্রথম অংশ। পুরো নীচটা জুড়েই সার দিয়ে হাতি, সিংহ
এবং পৌরাণিক নানা জীবজন্তুর মূর্তি খোদাই করা আছে। মনে হয়, এরাই যেন গোটা
মন্দিরটাকে কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দেওয়ালের প্যানেল জুড়ে
মহাভারত, রামায়ণ আর কৃষ্ণলীলা। মণ্ডপটা ভিতরের দিকে একটা থামঘেরা ঘর।
সিলিং-এ দুই সময়ের ছবির মিশ্রণ। প্রথম পর্যায়ে রাষ্ট্রকূটদের ও দ্বিতীয়
পর্যায়ে হোলকারদের সময়কার আঁকা কিছু ছবি। মণ্ডপ-এর সিলিং-এ খোদিত নটরাজ।
জগমোহন পেরিয়ে গর্ভগৃহ। দেবতা এক বিশাল মনোলিথিক লিঙ্গ। ওপরের সিলিং-এ এক
বিরাট পদ্ম।
মণ্ডপের আগে অবস্থিত নন্দীমণ্ডপটিকে মন্দিরের প্রধান অংশের সাথে যুক্ত
করেছে পাথরের একটি সেতু। এই সেতুর নিচের দেওয়ালে শিব ও কালভৈরবের মূর্তি।
পাশের দেওয়ালে একাধিক শিব ও পার্বতী। এরই মধ্যে রাবণের কৈলাস পাহাড়
নাড়ানোর মূর্তিটিও আছ।
গুহা ১৭: কালাচুরির শাসনামলে তৈরি
গুহা ১৮: কালাচুরির শাসনামলে তৈরি
গুহা ১৯: কালাচুরির শাসনামলে তৈরি
গুহা ২০: কালাচুরির শাসনামলে তৈরি
গুহা: ২১: এর নাম রামেশ্বর গুহা। এর প্রবেশদ্বারের সম্মুখে গঙ্গা ও যমুনা মূর্তি খচিত। কালাচুরির শাসনামলে তৈরি। এই গুহাটিও শিব মন্দির। সম্ভবত হিন্দু মন্দিরগুলির মধ্যে প্রথম। তা সত্ত্বেও বৌদ্ধ মন্দিরের গঠনশৈলীর প্রভাব প্রচুর।মূল মন্দিরের সামনে উঁচু পাটাতনে নন্দীমূর্তি রয়েছে। জগমোহন নেই, মণ্ডপের পরেই গর্ভগৃহ। মণ্ডপ ও তার দুপাশের দুই ঘরে বিশাল সব মূর্তি রয়েছে। মন্দিরের গোপুরায় দ্বারপালের মূর্তি দুটি অসাধারণ।
গুহা: ২২: এর নাম নীলকণ্ঠ গুহা। কালাচুরির শাসনামলে তৈরি।
গুহা ২৩: কালাচুরির শাসনামলে তৈরি।
গুহা ২৪: কালাচুরির শাসনামলে তৈরি
গুহা: ২৫: এর নাম কুম্ভরব্দা গুহা। কালাচুরির শাসনামলে তৈরি।
গুহা ২৬: কালাচুরির শাসনামলে তৈরি
গুহা: ২৭: এর নাম গোপেলিনা গুহা। কালাচুরির শাসনামলে তৈরি।
গুহা ২৮: কালাচুরির শাসনামলে তৈরি।
গুহা: ২৯: এর নাম ধুমুর লিনা।
এটি দেখতে মুম্বাইয়ের নিকটে অবস্থিত এলিফ্যান্ট দ্বীপের গুহার মত।
কালাচুরির শাসনামলে তৈরি। চারকোণে চারটে ঘরের মাঝখানে গর্ভগৃহে লিঙ্গ
স্থাপিত রয়েছে। চার দরজায় চার দ্বারপাল।
৩০- ৩৫ সংখ্যক গুহা: জৈন গুহা
৩৪ সংখ্যক গুহার অম্বিকা মূর্তি। |
গুহা: ৩০: এর নাম ছোট কৈলাশ গুহা। জৈন গুহা।
গুহা: ৩১: এর নাম ইন্দ্রসভা গুহা। জৈন গুহা। চারস্তম্ভ বিশিষ্ট একটি অসমাপ্ত জৈন মন্দির।
গুহা: ৩২: এর নাম ইন্দ্রসভা গুহা। জৈন গুহা। দুই তলা গুহা, একটিমাত্র পাথর কেটে তৈরী মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এর ছাদের দেয়ালে অপূর্ব সুন্দর করে কাটা পদ্মফুল রয়েছে। গুহার শুরুতেই দক্ষিণী শৈলীর গোপুরা। তারপর উঠোনে ঢুকে মনোলিথিক মন্দির, এর বাঁদিকে একটা বিশাল হাতি, ডানদিকে প্রকান্ড থাম- মানসস্তম্ভ। সিঁড়ি দিয়ে উঠে মূল মন্দির। মাঝখানে আছেন সর্বতোভদ্র, চারকোনায় চার তীর্থঙ্কর। পশ্চিমের দরজা দিয়ে চলে যাওয়া যায় মহাবীরের আরেকটি মন্দিরে।
গুহা: ৩৩: এর নাম জগন্নাথসভা গুহা। জৈন গুহা।
গুহা: ৩৪: এর নাম ইন্দ্রসভা গুহা। জৈন গুহা। এখানে রয়েছে অম্বিকা মূর্তি।