বিপাশা
উত্তর ভারতের একটি নদী।
ইংরেজি :
The Beas River বা Vipasha
হিন্দি :
ब्यास
পাঞ্জাবি :
ਬਿਆਸ
সংস্কৃত : विपाशा

ভারতের মধ্য হিমাচল প্রদেশের হিমালয় পর্বতের হিমালয়ের কুল্লু অঞ্চলের (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩,৩২৬ ফুট উঁচু) রোহটাঙ পাস থেকে এই নদী উৎপন্ন হয়েছে। এরপর নদীটি মান্ডি জেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কাঙ্গ্রা জেলার সাঙ্গোলে প্রবেশ করেছে। উল্লেখ্য এই স্থানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৯২০ ফুট উঁচু। এই পথ পাড়ি দেওয়ার সময় এই নদীর সাথে আরও অংসখ্য পাহাড়ি ঝর্না। কাঙ্গ্রা জেলার রেহ-এর কাছে এই নদীটি তিনটি স্রোতধারায় বিভাজিত হয়েছে। পরে সমূদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ১,০০০ ফুট উঁচুতে হোশিয়ারপুরের কাছে এই স্রোতধারা তিনটি পুনরায় মিলিত হয়েছে। এরপর শিবালিক পাহাড়কে বেষ্টন করে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়েছে। এখানে নদীটি গুরুদাসপুর ও হোশিয়ারপুর জেলাকে পৃথক করেছে এই নদী। এর জলন্ধর জেলাকে স্পর্শ করে কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে অমৃতসর ও কাপুর্থালা জেলাকে বিভাজিত করে অগ্রসর হয়েছে। অবশেষে এই নদী কাপুর্থালা জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানা বরাবর সাটলেজ নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এই নদীর সর্বমোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার।

ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের পর এই নদী ভারত প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও কৃষিকাজে এই নদীর ব্যবহারের জন্য প্রাথমিকভাবে বাঁধ তৈরি করা হয়। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে এই নদীতে পান্ডোহ বাঁধ সম্পন্ন হয়। প্রাথমিকভাবে এই বাঁধ থেকে কৃষিকাজে পানি সরবরাহ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এই ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ-উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে আলেকজান্ডার ভারতের দিকে যাত্রা করেন। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে আলেকজান্ডার সিন্ধু নদ পার হয়ে তক্ষশিলায় প্রবেশ করেন।  আলেকজান্ডারের সময়ে ভারতে আগত গ্রিক ঐতিহাসিকরা গঙ্গারিউই নামক একটি শক্তিশালী রাজার কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া প্রাসিয়য় নামক অপর এক জাতির কথাও গ্রিক লেখকদের কাছ থেকে জানা যায়। আলেকজান্ডার বিপাশা নদীর তীরে এসে এই রাজা বা প্রাসিয়য় সেনাবাহিনীর ভয়ে পূর্বদিকে অগ্রসর হন নাই।


সূত্র :
https://en.wikipedia.org/wiki/Beas_River