গ্রানাইট
Granaite
এটি কেলাসিত আগ্নেয় শিলা বিশেষ। এর প্রধান উপাদান
ফেল্ডস্পার,
কোয়ার্টজ এবং
প্ল্যাজিওক্ল্যাজ। এই জাতীয় উপকরণের দ্বারা গঠিত শিলাতে থাকে দানাদার বস্তুকণা।
মিহি দানাদার কেলাসকে বলা হয় রায়োলাইট, সূক্ষ্ণ দানাদার কেলাসগুলোকে বলা হয়
এ্যাপলাইট আর স্থূলদানাদার কেলাসগুলোকে বলা হয় গ্রানাইট। গ্রানাইটে থাকে ৮০-১০০%
কোয়ার্টজ, ক্ষার
ফেল্ডস্পার এবং প্ল্যাজিওক্ল্যাজ। এছাড়া থাকতে পারে ০-২০%
অন্যান্য খনিজ উপাদান। এর গাঠনিক উপাদানের কারণে নানা বর্ণের হতে পারে। তবে সাধারণত
সাদা, গোলাপি বা ধূসর বর্ণের গ্রানাইট দেখা যায়।
গ্রানাইট শিলাকে প্রাথমিকভাবে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এই ভাগ তিনটি হলো-
- ক্যাল্ক-ক্ষারীয় (Calc-alkaline):
এর অন্য নাম বায়োটাইট বা বায়োটাইট হর্নবেল্ড গ্রানাইট। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই
জাতীয় গ্রানাইটে থাকে অগাইট।
- অতি এ্যালুমিনীয়-ক্ষারীয়
(Peraluminous):
এর অন্য নাম এস-টাইপ গ্রানাইট। এই গ্রানাইটে ফেল্ডস্পার এবং বায়োটাইট থাকে।
এছাড়া অতিরিক্ত খনিজ পদার্থ হিসেবে থাকে মাসকোভাইট, এ্যান্ডালুসাইট,
সিলিম্যানাইট, করডাইয়েরাইট বা গারনেট।
- ক্ষারীয় (alkaline):
এই জাতীয় গ্রানাইটে থাকে লৌহ সমৃদ্ধ মাফীয় পদার্থ। এছাড়া অধিক পরিমাণে থাকে
সোডিক ক্ষার ফেল্ডস্পার।