কোয়ার্টজ
Quartz
সিলিকন এবং অক্সিজনের কেলাসিত রূপ বিশেষ। সাধারণভাবে একে বলা হয় সিলিকন ডাই অক্সাইড
(SiO2)।
ফেল্ডস্পারের পরে এই কেলাসটি সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। ভূত্বক
সৃষ্টির আদিম দশায়
ইয়োআর্কিয়ান
যুগ: ৪০০কোটি থেকে ৩৬০কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে ম্যাগমা থেকে রূপান্তর
প্রক্রিয়ায় আদি কোয়ার্টজ উৎপন্ন হয়েছিল। পরে
ফেল্ডস্পারের সাথে যুক্ত হয়ে
গ্রানাইট
নামক কেলাসিত আগ্নেয় শিলা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।
কেলাসিত কোয়ার্টজ বিচূর্ণ অবস্থায় বালিকণার সৃষ্টি করে। এই কণাগুলোর আকার হয়ে থাকে
০.০৫-২ মিলিমিটার। মূলত কেলাসিত কোয়ার্টজ বিচূর্ণ দশায় পানি, হিমবাহ, ঝড়ো হাওয়া
দ্বারা প্রবাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই সূত্রে কোয়ার্টজ পাললিক শিলার ভিতরে পাওয়া যায়।
এছাড়া বেলেপাথরের অন্যতম উপদান হলো কোয়ার্টজ।
কেলাসিত কোয়ার্টজ দুই ধরনে
স্ফটিক-বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। এই বিন্যাস দুটি হলো- হেক্সাগোনাল বিটা-স্ফটিক
এবং রম্বোহেড্রাল আলফা
স্ফটিক।
বিশুদ্ধ কোয়ার্টজ পাথর স্বচ্ছ। সাধারণ কাঁচের চেয়ে এর চাপ সহ্য করার ক্ষমতা অনেক
বেশি। তাই ডুবো জাহাজের জানালার কাঁচে কোয়ার্ট্জ ব্যবহার করা হয়। এদের ভিতরে
হেরকিমের হীরক
(Herkimer Diamond)
এবং
পাথর স্ফটিক
(Rock crystal)
বর্ণহীন স্বচ্ছ। প্রাকৃতিকভাবে কোয়ার্টজের সাথে নানা ধরনের অপদ্রব্যের মিশ্রণের
কারণে নানা বর্ণের কোয়ার্টজ উৎপন্ন হয়ে থাকে। রত্ন হিসেবে এই জাতীয় কেলসিত
কোয়ার্টজের ব্যবহার রয়েছে। রত্ন হিসেবে ব্যবহৃত এই কোয়ার্টজকে বলা হয়
স্ফটিকমণি।