স্ফটিকমণি
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা  { স্ফটিকমণি | খনিজবস্তু | ব্যবহার্য বস্তু | বস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
ইংরেজি Quartz (কোয়ার্জ)

এক প্রকার রত্নের শ্রেণিগত নাম। এর মূল  রসায়নিক সঙ্কেত
SiO2। এর সাথে অন্যান্য উপাদান যুক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের স্ফটিকমণি তৈরি হয়। ত্রিকোণাকার স্ফটিকগুলোর আদর্শ রূপ হলো অনেকটা ছয় তল বিশিষ্ট পিরামিডের মতো। এর আকার অনুসারে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। ভাগ দুটি হলো-  ১.ত্রিকোণাকার (α-quartz)। ২. ষোড়শ-কোণাকার (β-quartz)। এদের গাঠনিক উপাদান ভেদে বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এগুলোতে একটি বা একাধিক রঙ থাকতে পারে। স্ফটিকমণির প্রধান উৎসস্থল হলো আগ্নেয়শিলা। ধারণা করা হয়, পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ প্রচণ্ড উত্তাপ ও চাপে সিলিকন ডাই-অক্সাইডের সাথে বিভিন্ন উপাদানে স্ফটিকমণি তৈরি হয় এবং পরে অগ্ন্যুৎপাতের সময় গলিত আকারে পৃষ্ঠে নিক্ষিপ্ত হয়। কখনো কখনো ভূত্বকের নিচেই অন্যান্য খনিজদ্রব্যের ভিতরে জমে থাকে। তবে স্ফটিকমণির খুব বিশাল ওজনের বা আকারে পাওয়া যায় না। তবে ২-৩ মিটার দৈর্ঘ্যের স্ফটিকমণি পাওয়া যায়। অধিকাংশ সময় খনি থেকে আহরিত বড় স্ফটিকমণিকে মণিকাররা বিভিন্ন আকারে কেটে বাজারজাত করে থাকে। তবে আধুনিককালে রত্ন হিসাবে ব্যবহারের পাশাপাশি মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স-এ স্ফটিকমণি ব্যবহৃত হচ্ছে।

বিশুদ্ধ স্ফটিকমণিকে সাধারণভাবে বলা হয়, পাথর স্ফটিক (Rock Crystal)। এই মণি অত্যন্ত স্বচ্ছ বলে একে অনেক সময় স্বচ্ছস্ফটিকও বলা হয়। এই স্ফটিকগুলো রঙবিহীন। এই কারণে সহজেই এর আশপাশের রঙ দ্বারা প্রভাবিত হয়। নিচের স্ফটিকমণিগুলোর তালিকা তুলে ধরা হলো।

অকিক (agate)
এ্যামেথিস্ট
গিরিবজ্র
(Opal)
জেড পান্না (
Adventurine Quartz)
জ্যোতিরস (Blood Stone)
পরেশমণি (Onyx)
পাথর স্ফটিক (Rock Crystal)
শ্বেতাভমণি (chalcedony)