জেড পান্না
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা  { স্ফটিকমণি| খনিজবস্তু | ব্যবহার্য বস্তু | বস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
ইংরেজি Aventurine Quartz

এটি অভ্র ও অন্যান্য কিছু খনিজ উপাদানের সংমিশ্রণে সৃষ্ট এক প্রকার স্ফটিকমণি (
Quartz)। এটি অর্ধস্বচ্ছ এবং এর স্বাভাবিক রং সবুজ। তবে কমলা, ধূসর, নীল, বাদামি বা হলুদ রঙের জেড পান্নাও পাওয়া যায়। 

খনিতে প্রাপ্ত জেড পান্নাকে নির্দিষ্ট আকারে কেটে পালিশ করা হয়। স্বাভাবিকভাবে এই স্ফটিক উজ্জ্বল আলোতে ঝক্‌ঝক্ করে। কিন্তু পালিশ করার পর এর ঔজ্জ্বল্য এবং মসৃণতা বৃদ্ধি পায়। এই কারণে অলঙ্কারে এই মণি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

স্কটল্যাণ্ড, চীন, ভারত, রাশিয়া প্রভৃতি দেশের অভ্র খনিতে এই মণি পাওয়া যায়।

ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র মতে
বুধের অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হাতের আংটিতে এই রত্ন ব্যবহার করা হয়।


জ্যোতিরস
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা  { | শ্বেতাভমণি | স্ফটিকমণি | খনিজ | স্পর্শনীয় বস্তু | বস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
ইংরেজি
Blood Stone

এটি ত্রিকোণাকার স্ফটিকমণি শ্রেণীর অন্তর্গত শ্বেতাভমণি শ্রেণির অস্বচ্ছ রত্ন বিশেষ। চিরায়ত জ্যোতিরস-এর রঙ সবুজ বা ধূসর। বর্ণের দিক থেকে গাঢ় সবুজবর্ণের হয়ে থাকে। কিন্তু এর গায়ে রক্তের বিন্দুর মতো লাল লাল ছোপ রয়েছে। এই কারণে একে ইংরেজিতে বলা হয়
Blood Stone। এই রত্নের মূল উপাদান SiO2- এর সাথে লৌহের অক্সাইড মিশে এই রক্তের ফোটার মতো দেখতে লাল বর্ণ তৈরি হয়। এর আপেক্ষিক গুরুত্ব ২.৬১।

এই রত্নের প্রধান উৎস ভারত। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, চীন, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্কটল্যান্ড প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়।

ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র মতে
এই রত্নটি ধারণ করলে স্বাস্থ্যরক্ষা ও দুর্ঘটনা  রক্ষা পাওয়া যায়। এ ছাড়া এই রত্ন পাকস্থলীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।