ইন্ (ইনি)
সংস্কৃত প্রত্যয়
- কৃৎ-প্রত্যয়
এটি সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়। গ্রন্থভেদে এর লিখিত রূপের বিভিন্ন রূপ লক্ষ্য করা যায়।
যেমন −
ক. ইন্ (ইনি)
সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী।
খ. ইন্। ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ
গ. ইন্
(ইনি)।
বঙ্গীয় শব্দকোষ এবং বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান।
এই অভিধানে একে -ইন্
(ইনি)
হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
যে সকল ক্ষেত্রে প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়, তা হলো
−
১. নিন্দার্থে কর্মবাচক পদের পরবর্তী ক্রী ক্রিয়ামূলের উত্তর কর্তৃবাচ্যে অতীতকালে
ইন্ । যেমন−
মাংসবিক্রয়ী
২. জি, ক্ষি, প্র-সৃ, পরি-ভূ প্রভৃতি ক্রিয়ামূলের পরে ইন্ (ইনি) প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়।
যেমন- জি>জয়ী, ক্ষি>ক্ষয়ী, প্র-সৃ>প্রসবী।
এই প্রত্যয় যে সকল ক্রিয়ামূলের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন পদ তৈরি
করে, তাদের ভিতর থেকে যে সকল শব্দ বাংলাতে ব্যবহৃত হয়, তার তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
√
বাস
করা)+
ইন
(ইনি)=বাসী
-
তদ্ধিত প্রত্যয়
এটি তদ্ধিত প্রত্যয়। গ্রন্থভেদে এর লিখিত রূপের বিভিন্ন রূপ লক্ষ্য করা যায়।
যেমন−
ক. ইন্ (ইনি), বাঙ্গালা ব্যাকরণ।
খ. ইন্ । বঙ্গীয় শব্দকোষ
গ. ইন্ (ইনি)। বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। এই
গ্রন্থে ইন্ (ইনি) হিসাবে প্রত্যয়টি
গ্রহণ করা হলো। এই প্রত্যয় ব্যবহারের ফলে শব্দমূলের যে পরিবর্তন ঘটে, তা হলো
১. শব্দের সাথে ইন্ যুক্ত হয় এবং কর্তৃবাচ্যে পুরুষবাচক শব্দে ন লোপ পায় এয় ঈ যুক্ত
হয়। যেমন −
অংশ ,+ ইন্
(ইনি) = অংশিন্>অংশী
অঙ্গ+ ইন্ (ইনি) = অঙ্গীন্> অঙ্গী
ঋণ
+ ইন্
(ইনি)
=ঋণিন্>ঋণী
কৃত
+ ইন্ (ইনি) =কৃতিন্>কৃতী
কেশ
+ ইন্
(ইনি =কেশিন্>কেশী
গর্ব + + ইন্ (ইনি) =গর্বিন্>গর্বী
ভাগ + ইন্ (ইনি)=ভাগিন্>ভাগী
ইন্ (ইনি)
>=মালিন্>মালী