প্রশ্নবাচক (interrogative)
সর্বনাম
সর্বনাম
যে সকল সর্বনাম দ্বারা বক্তার প্রশ্ন প্রকাশ পায় বা নির্দেশিত হয়, তাদেরকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলা হয়। এই সর্বনাম গুলো হলো- কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কাহাদের, কাদের, কিসে। কে কে, কি কি, কোন কোন, কার কার।
প্রশ্নবাচক সর্বনামের বহুবচন হয়। যেমন-
একবচন
বহুবচন
সাধারণ রূপ
কে কারা
কার কাদের
কাহার কাহাদের
প্রশ্নের
প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে এই সর্বনামগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমন-
ক।
সাধারণ প্রশ্নবাচক
: কোন বিষয়ে খোঁজ খবর করার জন্য ব্যবহৃত সাধারণ প্রশ্নবাচক সর্বনাম।
যেমন-কে,
কি,
কি হেতু,
কি কারণে ইত্যাদি।
খ। প্রশ্ন-বিস্ময়সূচক : যদিও এর নাম প্রশ্নবাচক সর্বনাম, কিন্তু এই সর্বনামগুলো দিয়ে শুধুমাত্র প্রশ্নকেই প্রকাশ করা হয় না। বিশেষ করে বিস্ময় প্রকাশেও এই সর্বনামের ব্যবহার রয়েছে। যেমন-
কী কথা বলিস তুই, আমি যে তোর ভাষা বুঝি নে/চণ্ডালিকা। রবী্ন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এখানে কী বিস্ময়সূচক প্রশ্ন প্রকাশ করে। তাই এই জাতীয় সর্বনামকে আমরা প্রশ্ন-বিস্ময়সূচক বলতে পারি।
গ। অনিশ্চয়তাবাচক : যে সকল প্রশ্নবাচক সর্বনাম দ্বারা প্রশ্নকর্তার অনিশ্চিয়তা প্রকাশ পায়, তাকে অনিশ্চয়তাবাচক বলা হয়। যেমন- কেউ-কি আমার কথা শুনছো? এক্ষেত্রে দুটি প্রশ্নবাচক সর্বনাম একত্রিত হয়ে একটি যৌগিক প্রশ্নবাচক সর্বনাম তৈরি করে। তাই একে প্রাথমিকভাবে যৌগিক অনিশ্চয়তাবাচক সর্বনাম হিসাবে নির্ধারিত করা যেতে পারে এবং পরে এর উপবিভাগ হিসাবে প্রশ্নবাচক নির্দেশ রাখা যেতে পারে। উভয় বিচারে এই সর্বনামটির যেভাবে নির্দেশিত করা যেতে পারে, তা হলো-
ক।
সর্বনাম (প্রশ্নবাচক,
অনিশ্চয়তাবাচক)
খ।
সর্বনাম (অনিশ্চয়তাবাচক
যৌগিক, প্রশ্নবাচক)।
ঘ। ব্যতিহার : একই শব্দ দুই বার উল্লেখ করে প্রকাশ করার পদ্ধতিগত নাম হলো ব্যতিহার। প্রশ্নবাচক সর্বনামে এই জাতীয় শব্দ পাওয়া যায়। যেমন- কে কে, কোন কোন।
যেমন, একটি ‘কি’ দ্বারা একটি বিষয় প্রকাশ করে। যেমন : কি এনেছো ? কিন্তু একাধিক বিষয়ের জন্য করি কি কি। যেমন : কি কি এনেছো ? এই সূত্রে হয় কে কে, কোন কোন, কার কার। এই ভাবে একই সর্বনাম দুইবার করে যে প্রশ্নবাচক ভাব তৈরি করে, তা কে বলা যেতে পারে প্রশ্নবাচক (ব্যাতিহার)।