কাকোরি ডাকাতি
ব্রিটিশ ভারতের একটি গুপ্ত বিপ্লবী
সংগঠন
অনুশীলন সমিতি-র পরিকল্পনায় সংঘঠিত রেল-ডাকাতি। এই ডাকাতির
উদ্দেশ্য ছিল, লুণ্ঠিত অর্থের দ্বারা গুপ্ত সংঘটন পরিচালনা করা এবং সশস্ত্র যুদ্ধের
জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করা।
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ৮ আগষ্ট এই ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয়
শাজাহানপুরে। আলোচনা শেষে বিপ্লবীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ কে যে-
তারা সরণপুর-লখনৌ-এর মধ্যে চলাচলকারী ৮-ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনে
পাঠানো সরকারি
কোষাগার লুট করবেন। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে, ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে ৯ আগস্ট,
যেটি লক্ষ্ণৌ-এর আলমনগর এবং কাকোরির মাঝে
মোট ১৬ জন বিপ্লবী এই ডাকাতিতে
অংশগ্রহণ করেন।
পরে ব্রিটিশ পুলিশ এই ডাকাতির সাথে জড়িত বিপ্লবীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল।
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে 'কাকোরি মামলা' শুরু হয়েছিল। এই মামলায়
উল্লিখিত আটজন ছাড়া অনুশীলন সমিতির আরও সদস্যদের শাস্তি হয়েছিল। এঁরা ছিলেন পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল, রাজেন্দ্র লাহিড়ী,
ঠাকুর রৌশন সিং, আসফাকউল্লা খানের ফাঁসি হয়। শচীন্দ্রনাথ সান্যালের যাবজ্জীবন
দ্বীপান্তর হয়। মন্মথ গুপ্তের ১৩ বছর এবং যোগেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, গোবিন্দচরণ
কর, শচীন্দ্রনাথ বক্সি, মুকিন্দীলাল, রাজকুমার সিং, রামকৃষ্ণ ক্ষেত্রীর ১০ বছর সাজা
হয়। এছাড়াও বিষ্ণু শরণ দুব্লিশ, সুরেশচন্দ্র ভট্টাচার্যের ৭ বছর, ভূপেন্দ্রনাথ
সান্যাল, রাম দুলারী ত্রিবেদী, প্রেমকিষণ খান্না, বনোয়ারী লাল এবং পরমেশ কুমারের
পাঁচ বছরের জেল হয়। এঁরা সকলেই এই অনুশীলন সমিতির সভ্য ছিলেন।