রাখিবন্ধন
১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৬
অক্টোবর
বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করার দিনে— জাতীয় শোক
দিবস হিসাবে পালন করে। এই দিনে রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে
ভ্রাতৃত্ববন্ধনের প্রতীক হিসাবে 'রাখিবন্ধন'-এর ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার সূত্রে রাখিবন্ধন উৎসবটি নতুনভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। মূলত রাখিবন্ধনের বিষয়টি ভারতীয় পৌরাণিক লোককথার অংশ। সুবলচন্দ্র মিত্রের সরল বাঙ্গালা ভাষার অভিধান [ডিসেম্বর ২০০৫] মতে- 'রাখি, রাখী -রক্ষকবচ, রক্ষাসূত। বাংপ্র (বাংলা ভাষায় প্রচলিত)। বি; স্ত্রী। [ঝুলন-পূর্ণিমার দিন হিন্দুস্থানীদিগের মধ্যে রাখিবন্ধন প্রথা প্রচলিত আছে। ইহা হিন্দুজাতির পুরাণশাস্ত্রপ্রসিদ্ধ ধর্মকার্য। যশোদা শ্রীকৃষ্ণের কল্যাণের নিমিত্ত রক্ষা (রাখি) বন্ধন করিয়াছিলেন।] |
এই 'রাখিবন্ধন' অনুষ্ঠানের জন্য, রবীন্দ্রনাথ ৩টি গান রচনা করেন। এই গান তিনটি ভাণ্ডার পত্রিকায় (ভাদ্র-আশ্বিন সংখ্যা
১৩১২ বঙ্গাব্দ) প্রকাশিত হয়েছিল। গান তিনটি হলো—
বাংলার মাটি,
বাংলার জল, বাংলার বায়ু,
বাংলার ফল।
স্বদেশ-২০
ওদের বাঁধন যতই শক্ত
হবে ততই বাঁধন টুটবে।
স্বদেশ-৪৩
বিধির বাঁধন কাটবে
তুমি এমন শক্তিমান।
স্বদেশ-৪৪
সূত্র :
বাংলা বিশ্বকোষ। তৃতীয় খণ্ড। নওরোজ কিতাবিস্তান। জুলাই ১৯৭৩।
রবিজীবনী। ষষ্ঠ খণ্ড। প্রশান্তকুমার পাল।