আবজাদ
ইংরেজি Abjad
লিখন পদ্ধতির একটি প্রকরণ। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে এই লিখন পদ্ধতির নামকরণ করেন
Peter T. Daniels। তিনি
আরবি বর্ণামালার চারটি বর্ণ অনুসারে এই লিখন পদ্ধতির নামকরণ করেছেন। এই বর্ণ চারটি
হলো‒
أ=
"A" (আলিফ),
ب
=
"B" (বা)
ج
= "Ǧ" (জিম)
د
= "D" (দাল)
এই চারট বর্ণের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে أبجد (আবজাদ)। এই শব্দের অর্থ হলো বর্ণমালা। আবার গ্রিক "A" (alpha) এবং "B" (beta), বর্ণদ্বৈয়ের নামানুসারে গ্রহণ করা হয়েছে alphabet। এই শব্দের অর্থও বর্ণমালা। যদিও আরবি থেকে এই নাম নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরবি লিখন পদ্ধতি বিশুদ্ধ আবজাদ নয়। কারণ এতে ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে অল্পবিস্তর স্বরচিহ্ন (জের্, যবর, পেশ্) ব্যবহার করা হয়।
এই লিখন পদ্ধতি কতকগুলি সূত্র দ্বারা সিদ্ধ। যেমন‒
১. ভাষার প্রধান উচ্চারণযোগ্য সকল ধ্বনির জন্য এককভাবে মৌলিক স্বরচিহ্ন, ব্যঞ্জনধ্বনি আছে। কিন্তু ব্যঞ্জনবর্ণেকে প্রভাবিত করার জন্য কোনো পৃথক স্বরচিহ্ন নাই।
২. শব্দ নির্মাণের সময় বর্ণগুলো পরপর বসে। ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে সহগ কোনো স্বরধ্বনি না থাকায়, পরপর ব্যঞ্জনধ্বনি বসলে তা যুক্ত ধ্বনিতে পরিণত হয়। রোমান বর্ণমালায় যখন klm লেখা হয়, তখন সব মিলিয়ে তিনটি যুক্তবর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু বাংলা, হিন্দি উড়িয়া, সংস্কৃত ইত্যাদি ভাষায় 'কলম' লিখলে প্রতিটি বর্ণ পৃথক অক্ষর (syllable) হিসেবে বিবেচিত হবে। আবজাদ পদ্ধতিতে কলম লিখতে গেলে ব্যঞ্জনবর্ণের পরে সহায়ক স্বরধ্বনি বসাতে হয়। যেমন- কলম লিখতে গেলে লিখতে হবে- kalam বা kalom।
৫. স্বরবর্ণ ব্যতীত সকল ব্যঞ্জনবর্ণ রুদ্ধ স্বরে পরিণত হয়। এবং অক্ষর (syllable) নির্ধারণে তা গুরুত্বপূর্ণভূমিকা রাখে।