সাধারণী
প্রাচীন ভারতের এক প্রকার গীত।
খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর সঙ্গীতজ্ঞ
দুর্গাশক্তি প্রথম এই গীতের
উল্লেখ করেন। খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশীতে, মতঙ্গ
যে সাত প্রকার গীতের নাম উল্লেখ করেছিলেন-
এর ভিতরে- এই গীতের নাম রয়েছে।
বৃহদ্দেশীতে বলা হয়েছে- এই পর্যায়ের গীতে প্রয়োগকৃত উপদান হবে- ঋজুললিত, কিঞ্চিৎ
সূক্ষ্ম ও অসূক্ষ্মের মিশ্রণে সুশ্রাব্য, ঈষৎ দ্রুত, মৃদু, মসৃণ, সাধারণভাবে
সূক্ষ্মতাসম্পন্ন এবং কাকুমিশ্রিত ও সুযোজিত।
বৃহদ্দেশী মতে- এই গীতের অন্তর্ভুক্ত
রাগ ছিল ৭টি। এগুলো হলো- নর্ত, শক, ককুভ, হর্মাণপঞ্চম, রূপসাধারিত,
গান্ধারপঞ্চম, ষড়্জ কৈশিক।
তথ্যসূত্র:
-
বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। রাজ্যেশ্বর মিত্র সম্পাদিত। সংস্কৃত
পুস্তক ভাণ্ডার। কলকাতা। ১৯৯২।
-
সঙ্গীতরত্নাকর। সুরেশচন্দ্র অনূদিত। রবীন্দ্রভারতী
বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা। ২২ শ্রাবণ ১৪০৮।