ইরানের ইস্পানিতে প্রাপ্ত ডফ হতে সঙ্গীত শিল্পী

খঞ্জরি, খঞ্জনি, ডফ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {  | আনদ্ধ বাদ্যযন্ত্র | ঘাত বাদ্যযন্ত্র | সঙ্গীতযন্ত্র | যন্ত্র | ডিভাইস | যন্ত্রকরণতা | মানবসৃষ্টি | সমগ্র | দৈহিক লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

হিন্দি খঞ্জরী>বাংলা খঞ্জরি।
সমনাম: খঞ্জনি (গ্রাম্য বাংলা), ডফ (পারশ্য)।


এটি আনদ্ধ তালবাদ্যযন্ত্র। এই জাতীয় যন্ত্র বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন দেশের দেখতে পাওয়া যায়। পারশ্য সঙ্গীতে এর একটি প্রকরণ পাওয়া যায়। এর নাম ডফ। ২২০ থেকে ৬৫১ খ্রিষ্টব্দের দিকে ইরানের সাসানিয়ান শাসনামলে এই যন্ত্রটির 'ডপ' নামে প্রচলিত ছিল। প্রাচীন পারশ্যের পাহলবী ভাষায় একে বলা হতো 'ডফ'। ইরানে নওরোজ (নববর্ষের উৎসব) বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে শিল্পীরা ডফ বাজিয়ে গান করতেন।

মুসলমানদের ভারতবর্ষে আসার আগে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে খঞ্জরি বা খঞ্জনির ব্যবহার সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। তবে প্রাকৃতজনদের ভিতরে এই যন্ত্রের ব্যবহার থাকলেও থাকতে পারে। কারণ ভারতের যাযাবর শ্রেণি তথা বেদেরা সাপ খেলা দেখার সময় ডমরু এবং খঞ্জনি ব্যবহার করতো। বর্তমানে এই যন্ত্রটি লোকসঙ্গীত ও চলচ্চিত্রের গানে ব্যবহৃত হয়।

এর দেহকাঠামো বৃত্তাকার এবং এটি তৈরি করা কাঠের পাতলা পাত দিয়ে। এর এক দিকে চামড়া দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়। এর ফলে এটি দেখতে হয় কানি-তোলা থালার মতো। কাঠের চক্রের গায়ে সমদূরত্বে ঘর তৈরি করে, তার ভিতর ছোট ছোট গোলাকার পাতলা একাধিক ধাতব পাত ঢুকানো হয়। এই পাত সহজেই অন্য পাতের সাথে ঠোকাঠুকি হলে ঝন ঝন শব্দ হয়। এর চামড়ার আচ্ছাদনকে সুরে বাঁধার জন্য স্ক্রু ব্যবহার করা হয়।

খঞ্জরির ফ্রেম এক হাতে ধরে অন্য হাতে ছাউনিতে আঘাত করে বাজাতে হয়ে।  এতে তবলা বা খোলের মতো বিচিত্র শব্দ উৎপন্ন করে যায় না। ছাউনিতে আঘাত করলে মূল যে শব্দ উৎপন্ন হয়, তার সাথে কাঠের কাঠামোতে আটকানো ধাতব পাতগুলো পরস্পরের সাথে ঠোকাঠুকি করে ধাতব ঝন ঝন ধ্বনি উৎপন্ন করে।



সূত্র :