দিল্লি ঘরানা (তবলা)
সমনাম :
দিল্লি বাজ,
কিনারা কা বাজ
দিল্লি বা পশ্চিমী বাজের দিল্লি অঞ্চলের তবলা-বাদন
ঘরানা। তবলার আদি ওস্তাদ বলতে সিদ্ধার খাঁকে এই ঘরানার আদি পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সিদ্ধার খাঁ দিল্লির অধিবাসী ছিলেন।
তাঁর বংশধর এবং শিষ্যরা সিদ্ধার খাঁর বাদন রীতিকে নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করে যে
বাদনশৈলীর প্রচলন ও প্রতিষ্ঠিত করে, তাকেই দিল্লি ঘরানা নামে অভিহিত করা হয়। এই
ঘরনাকেই তবলার সকল ঘরনার উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সিদ্ধার খাঁর
মৃত্যুর পর তাঁর তিন পুত্র বুগড়া খাঁ, ঘসিট্ খাঁ এবং মহবত খাঁ এই বাদন পদ্ধতিকে
নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করেছেন।
এই ঘরানাকে প্রতিষ্ঠায় যাঁরা বিশেষ অবদান রেখেছিলেন, তাঁদের তালিকা নিচে দেওয়া
হলো।
দিল্লি ঘরানার বৈশিষ্ট্য
১. তর্জনী ও মধ্যমার প্রয়োগ অধিক
২. কিনারা বা চাটিতে বেশি কাজ করা হয়। এই কারণে দিল্লিবাজের অপর নাম হলো‒ কিনারা কা বাজ। এছাড়া এই বাজে খিরনের ব্যবহারও প্রচুর হয়।
৩. এই বাজে ছোট ছোট মুখড়া, মোহরা, কায়দা, পেশকার, রেলা ইত্যাদির গুরুত্ব আরোপ করা হয় বেশি।
৪. এই বাজে বড় পরণ, রেলা, ইত্যাদির প্রয়োগ করা হয় না।
৫. এই বাজে ধিন, তেটে, তেরেকেটে, ক্রেধাতেটে, ঘেনাতেটে, ধেগেতেটে ইত্যাদি বোলবাণী বেশি ব্যবহার করা হয়।
৬. এই বাজে অনুসৃত সিলসিলা হলো পেশকার-কায়দা-লগ্গী-রেলা-গৎ-টুকরা, চক্রদার ইত্যাদি।
সূত্র :