Étienne Maurice Falconet: Pygmalion et Galatée[1] (1763) |
পিগম্যালিয়ন
ইংরেজি
Pygmalion।
সাইপ্রাসের লোকগাঁথার একটি চরিত্র। এই গল্পের গ্রিক সংস্করণ থেকে এর নাম জানা যায় Pumayyaton। ওভিদের Metamorphoses, X, থেকে এই গল্প জানা যায় আরও বিস্তারিতভাবে।
ওভিদের
গল্প থেকে জানা যায় যে, পিগম্যালিয়ন ছিলেন
সাইপ্রাসের এক তরুণ ভাস্কর। তিনি ছিলেন চরম নারী বিদ্বেষী ছিলেন এবং প্রতিজ্ঞা
করেছিলেন যে, তিনি কখনো বিয়ে করবেন না। তাঁর নেশা ছিল বড় বড় পাথর কেটে মূর্তি তৈরি
করা। তাঁর রূপ এবং প্রতিভা দেখে অনেক নারী তার তাঁর কাছে প্রেম নিবেদন করলেও, তিনি
তা প্রত্যাখ্যান করেন। একবার তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন যে, তিনি তাঁর মনের মতো একটি
নারী মূর্তি তৈরি করবেন। এরপর তিনি দীর্ঘদিন ব্যয় করে একটি অসাধারণ নারী মূর্তি
তৈরি করলেন। এই মূর্তি তৈরির পর তিনি এই মূর্তির প্রেমে পড়ে গেলেন। তাঁর ভালাবাসা
এতটাই গভীরভাবে মনের গভীরে প্রবেশ করেছিল যে, মূর্তির জন্য বিভিন্ন প্রকার উপহার
নিয়ে আসতেন। এই মুর্তিটিকে তিনি উষ্ণ ও আরামদায়ক বিছানায় শুইয়ে রাখতেন।
পিগম্যালিয়নের এই অদ্ভুদ আবেগের বিষয়টি প্রেমের দেবী
এ্যাফ্রদাইতি জানতে
পেরেছিলেন। সাইপ্রাসে
এ্যাফ্রদাইতি'র উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভোজন উৎসবে, পিগম্যালিয়ন
এ্যাফ্রদাইতি'র কাছে
জানতে চাইলেন যে, এই মূর্তির মতো কোনো নারী পাওয়া যাবে কি না। প্রকৃতপক্ষে
পিগম্যালিয়ন এই মূর্তিটির প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা থেকে এই প্রশ্নটি দেবীর কাছে
করেছিলেন। সাহস করে দেবীর কাছে মনের কথা না বলতে পারলেও,
এ্যাফ্রদাইতি বিষয়টি
বুঝতে পেরেছিলেন।
এ্যাফ্রদাইতি তাঁর এই প্রার্থনা মঞ্জুর করেন, তাঁর উদ্দেশ্যে বেদীতে স্থাপিত
প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখাকে তিন বার উজ্জ্বলতর করে তুললেন। পিগম্যালিয়ন এই সঙ্কেতকে
শুভ বিবেচনা করে, তিনি মূর্তিটিকে আলিঙন করলেনএবং বুঝতে পারলেন যে,
পাথরের মূর্তিটি ক্রমে ক্রমে জীবন্ত মানুষ হয়ে উঠছে।
মূর্তিটি পুরোপুরি জীবন্ত হয়ে উঠার পর, পিগম্যালিয়ন এঁর নাম রাখলেন গ্যালাতীয়। পরে পিগম্যালিয়ন ও গ্যালাতীয়র বিবাহ হয়।
এ্যাফ্রদাইতি এই
বিয়েতে বিশেষভাবে আশীর্বাদ করে। এঁদের একটি পুত্রসন্তান জন্মেছিল। এর নাম প্যাফোস।
সূত্র :
greek myth/Robert
Graves, cassel & comoany, fourth edition 1995
Mythology/Edith Hamilton/New American Library, 1969
http://en.wikipedia.org/wiki/Pygmalion_(mythology)