অভিমন্যু
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে
এই নামে একাধিক চরিত্র পাওয়া যায়।
যেমন–
১.
তৃতীয় পাণ্ডব
অর্জুনের
ঔরসে ও সুভদ্রার গর্ভে এঁর জন্ম হয়েছিল।
ইনি নির্ভীক ও মন্যুমান (ক্রোধী বা তজস্বী) বলে তাঁর নাম অভিমন্যু [মন্যুকে
(ক্রোধকে) অভিগত/দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস।]।
ইনি শৈশবেই তাঁর পিতা
অর্জুনের কাছে
অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা করেছিলেন।
অর্জুনের ইচ্ছায় ইনি বিরাটরাজের কন্যা উত্তরাকে বিবাহ করেন।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ইনি যখন অংশ নেন,
তখন তাঁর বয়স মাত্র ষোল বৎসর।
এই যুদ্ধের প্রথমাবস্থায়,
ইনি বহু কুরুসৈন্যকে হত্যা করেছিলেন।
যুদ্ধের ত্রয়োদশ দিনে দ্রোণাচার্য অভেদ্য চক্রব্যূহ রচনা করেন।
একমাত্র অর্জুনই এই চক্রব্যূহ ভেদ করতে সক্ষম ছিলেন।
এ
ছাড়া অভিমন্যু এই চক্রব্যূহে প্রবেশের কৌশল জানতেন,
কিন্তু নির্গমের কৗশল জানতেন না।
কিন্তু এই সময় অর্জুন সংশপ্তকদের সাথে যুদ্ধের কারণে অন্যত্র ছিলেন।
দ্রোণাচার্যকে বাধা দেবার কোনো উপায় না দেখে অভিমন্যু এই ব্যূহ ভেদ করার জন্য
যুধিষ্ঠিরের কাছে আবেদন করেন।
কোনো উপায় না দেখে এবং অভিমন্যুর জিদের কারণে যুধিষ্ঠির শেষ পর্যন্ত ব্যূহ ভেদ
করার অনুমতি দেন এবং যুধিষ্ঠির তাঁকে এই আশ্বাসও দিয়েছিলেন যে,
অভিমন্যুকে তিনি রক্ষা করবেন।
ব্যূহে প্রবেশ করে ইনি শল্যপুত্র রুক্ষ্মরথ, কর্ণের এক ভাই ও দুর্যোধনের পুত্র লক্ষ্মণ প্রভৃতিকে হত্যা করেন। ক্রমে ক্রমে অভিমন্যু অপরাজেয় হয়ে উঠলে– জয়দ্রথ ব্যূহমুখ রুদ্ধ করে পাণ্ডবদের সকল সাহায্য বন্ধ করে দেন। এরপর দ্রোণ, কৃপ, কর্ণ, অশ্বত্থামা, বৃহদ্বল ও কৃতবর্মা- এই ছয়জন অভিমন্যুকে বেষ্টন করেন। একে একে অভিমন্যুর সকল অস্ত্র ও রথ ধ্বংস হলে- দুঃশাসনের পুত্র তাঁর মস্তকে গদাঘাত করেন এবং শেষ পর্যন্ত দুঃশাসনের হাতে ইনি নিহত হন। তৎকালীন রীতি অনুসারে অভিমন্যু-হত্যার এই প্রক্রিয়াটি অন্যায় ছিল। অবশ্য পরে এই অন্যায় যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন– অভিমন্যুর পিতা অর্জুন। অভিমন্যুর মৃত্যুকালে উত্তরা গর্ভবতী ছিলেন। এঁর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র পরীক্ষিতের জন্ম হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবদের সকল পুত্র নিহত হলে– একমাত্র পরীক্ষিতই পাণ্ডবদের বংশ রক্ষা করেছিলেন।
২.
বিষ্ণুপুরাণের মতে,
চাক্ষুষ মনুর পুত্রের নাম।
এঁর মায়ের নাম ছিল নচলার।
৩.
রাধিকার স্বামী আয়ানের পূর্বনাম ছিল- অভিমন্যু।