ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
ঋষি বিশেষ।
ইনি ঋচিক নামে সর্বাধিক পরিচিত।
এঁর পুত্র ছিলেন বিখ্যাত ঋষি শুনঃশেফ।
ঔর্ব নামক ঋষির পুত্র।
কোন কোন মতে ইনি ভৃগুমুনির পুত্র ছিলেন।
ক্ষত্রিয়দের বিনাশের জন্য ইনি সমস্ত ধনুর্বেদ শিক্ষা সমাপ্ত করেন।
বংশ রক্ষার জন্য ইনি গাধি মুনির কন্যা সত্যবতীকে বিবাহ করেন।
গাধি মুনির কোন সন্তান না থাকায়,
ঋচীক নিজের স্ত্রী সত্যবতী ও শাশুড়ীর জন্য ব্রাহ্ম ও ক্ষাত্র নামক দুটি যজ্ঞের
আয়োজন করেন।
শাশুড়ী সুসন্তান লাভের আশায় ব্রাহ্ম পায়েস গ্রহণ করেন।
ফলে সত্যবতী ক্ষাত্র পায়েসের প্রভাব বুঝতে না পেরে,
এই পায়েস খেয়েই সন্তুষ্ট হন।
কিন্তু এই পায়েসের প্রভাব বুঝতে না পেরে সত্যবতী তাঁর স্বামীর কাছে আবেদন করে বলেন-
যেন তাঁর পুত্রই শুধু ব্রাহ্মণত্ব লাভ করে।
এঁর ফলে ঋচীকের জমদগ্নি নামক পুত্র জন্মে।
আর তাঁর শাশুড়ী বিশ্বামিত্র নামক পুত্রের জন্মদান করেছিল।
ঋচীকের ঔরসে সত্যবতীর গর্ভে আরো দুটি পুত্র জন্মেছিল।
এঁরা হলেন শুনঃশেফ ও শুনঃপুচ্ছ।
অন্যমতে- কুশিক-পুত্র গাধি বনে তপস্যা করার কালে সত্যবতী নামক এই কন্যার জন্ম হয়। ঋচীক এই কন্যাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে, গাধি কন্যা পণ হিসাবে এক হাজার কালো ঘোড়া দাবি করেন। ঋচীক বরুণ দেবতাকে সন্তুষ্ট করে এক হাজার কালো ঘোড়া সংগ্রহ করে- গাধির কাছে এলে, গাধি ঋচীকের হাতে কন্যা সমর্পণ করেন। ঋচীকের পিতা ভৃগু পুত্রবধু সত্যবতীকে দেখে সন্তুষ্ট হয়ে বর প্রদান করতে ইচ্ছা করলে- সত্যবতী তাঁর নিজের জন্য তপোনিষ্ঠ পুত্র ও তাঁর মায়ের জন্য অমিত বলশালী পুত্র প্রার্থনা করেন। ভৃগু তথাস্তু বলে লাল ও সাদা রঙের দুটি চরু দান করে বলেন যে- ঋতু স্নান শেষে তুমি ও তোমার মাতা এই চরু আহার করবে। এই চরু দুটির মধ্যে সাদা রঙেরটি ছিল সত্যবতীর জন্য এবং লাল রঙেরটি ছিল তাঁর মায়ের জন্য। কিন্তু সত্যবতীর মায়ের কৌশলে এই পরস্পরের চরু পরস্পর গ্রহণ করে। পরে ভৃগু এই বিষয় অবগত হয়ে জানান যে- সত্যবতীর পুত্র হবে ক্ষত্রিয়চারী ব্রাহ্মণ এবং তাঁর মায়ের পুত্র ব্রাহ্মণচারী ক্ষত্রিয় হয়ে জন্মাবে। পরে সত্যবতী জম্দগ্নির জন্ম দেন এবং সত্যবতীর মায়ের গর্ভে জন্ম হয়েছিল বিশ্বামিত্র।