অসিতদেবল
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
ইনি সরস্বতী নদীর তীরে আদিত্যতীর্থে বসবাস করতেন।
ইনি ছিলেন গার্হস্থ্য-ধর্মী তপস্বী।
একবার ভিক্ষু জৈগীষব্য মুনি দেবলের আশ্রমে এসে যোগনিরত অবস্থায় বাস শুরু করেন।
ইনি সারাদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে শুধুমাত্র খাওয়ার সময় হাজির হতেন।
ফলে অসিতদেবলের সাথে তাঁর বিশেষ পরিচয় ঘটার সুযোগ হলো না।
একদিন অসিতদেবল খাবারের সময়ও এই তপস্বীকে দেখতে না পেয়ে,
একটি কলস নিয়ে আকাশপথে মহাসমুদ্রে এসে দেখলেন–
তপস্বী সেখানে উপস্থিত আছেন।
ইনি তাঁর ধ্যানে বিঘ্ন না ঘটিয়ে আশ্রমে ফিরে এসে দেখলেন তপস্বী তাঁর আগেই আশ্রমে
ফিরে এসেছেন।
এরপর কৌতুহলবশত ইনি অন্তরীক্ষ,
পিতৃলোক,
যমলোক,
সূর্যলোক ইত্যাদি পরিভ্রমণ করে,
প্রত্যেক স্থানে তপস্বীকে দেখতে পেলেন।
অবশেষ এই তপস্বী ব্রহ্মলোকে এসে হারিয়ে গেলেন।
অসিতদেবল তাঁর অল্প তপস্যার কারণে সেখানে প্রবেশ করতে পারলেন না।
এরপর ইনি আশ্রমে ফিরে এসে তাঁর কাছে মোক্ষধর্ম গ্রহণ করে সিদ্ধি লাভ করেন।
ইনি অসিত,
অসিতদেবল ও দেবল এই তিন নামে খ্যাত ছিলেন।
তাঁর স্ত্রী ছিলেন–
হিমালয় কন্যা একপর্ণা।