২.
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু
পৌরাণিক কাহিনি মতে–
ইনি
ছিলেন দৈত্যরাজ বলির পুত্র।
উল্লেখ্য বলি'র
১০০টি পুত্রের মধ্যে এঁকেই শ্রেষ্ঠ ধরা হয়ে থাকে।
ইনি কঠোর তপস্যার দ্বারা মহাদেবকে সন্তুষ্ট করেন।
পরে মহাদেবের আদেশে শোণিতপুরে রাজধানী স্থাপন করে রাজত্ব করতে থাকেন।
মহাদেবের বরে অজেয় হয়ে উঠে,
ইনি দেবতাদের
উপর অত্যাচার শুরু করেন।
বাণের কন্যা ঊষা একবার স্বপ্নে কৃষ্ণের পৌত্র অনিরুদ্ধকে দেখে তাঁর প্রেমে পড়ে যান।
পরে ঊষা তাঁর সখী চিত্রলেখার সাহায্যে গোপনে অনিরুদ্ধকে রাজভবনে এনে বিবাহ করেন।
বিষয়টি জেনে বাণ অনিরুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
যুদ্ধে বাণের সকল সৈন্য পরাজিত হলে,
বাণ নিজেই
অনিরুদ্ধের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন।
এরপর বাণ অনিরুদ্ধকে পরাজিত করে তাঁকে বন্দী করেন।
এই সংবাদ শ্রীকৃষ্ণ জানার পর,
প্রদ্যুম্ন ও
বলরামকে সাথে নিয়ে বাণের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন।
এই যুদ্ধে মহাদেব বাণের পক্ষাবলম্বন করলেও কৃষ্ণের কাছে বাণের পরাজয় ঘটে।
এরপর বাণ কৃষ্ণের দয়ায় মহাকাল নামে খ্যাত হয়ে মহাদেবের অনুচরদের অন্তর্গত হন।
যুদ্ধের শেষে কৃষ্ণ শোণিতপুরকে বাণের প্রধানমন্ত্রী কুষ্মাণ্ডকে দান করেন।