বলি
সংস্কৃত
(বলি)>বাংলা
বলি।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে−
এঁর
পিতার নাম বিরোচন।
ইনি বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদের পৌত্র ছিলেন।
এঁর দুটি স্ত্রী ছিল।
এঁরা হলেন- বিন্ধ্যাবলি ও সুদেষ্ণা।
দীর্ঘতমা মুনি বলিরাজের অনুমতিক্রমে সুদেষ্ণার গর্ভে পাঁচটি সন্তান উৎপন্ন করেন।
এঁরা হলেন− অঙ্গ,
বঙ্গ,
কলিঙ্গ,
পুণ্ড্র ও সুহ্ম।
মৎস্য পুরাণ মতে−
এঁর একশতটি পুত্র ছিল।
এদের মধ্যে বাণ ছিলেন জ্যেষ্ঠ এবং শ্রেষ্ঠ।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পুত্রদের নাম ছিল ধৃতরাষ্ট্র, সূর্য, চন্দ্র, চন্দ্রাংশ-তাপন,
নিকুম্ভনাভ, গুর্বক্ষ, কুক্ষিভীম ও বিভীষণ। বলির ছিল সহস্রবাহু। তাঁর সেবায় তুষ্ট
হয়ে, মহাদেব সব সময় তাঁর বাসভবনে থাকতেন।
তপস্যার দ্বারা ইনি অজেয় ও অমর হয়ে স্বর্গ আক্রমণ করেন এবং দেবতাদের পরাজিত করে স্বর্গ ও পৃথিবীর অধিকর্তা হন। দেবতারা এর প্রতিকারের জন্য বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। বিষ্ণু দেবতাদের সাহায্যের জন্য বামনরূপে কশ্যপের পুত্র হয়ে জন্মান। বলি একটি যজ্ঞের আয়োজন করলে, বামনরূপী বিষ্ণু উক্ত যজ্ঞানুষ্ঠানে গিয়ে ত্রিপাদ-ভূমি (তিন পা রাখার মতো ভূমি) প্রার্থনা করেন। বলি সম্মত হয়ে ভূমি দান করলে, বিষ্ণু তাঁর দেহবর্ধিত করে বিশাল আকার ধারণ করেন। বিষ্ণু স্বর্গে-মর্তে দুই পা রেখে নাভি থেকে তৃতীয় পা বের করেন। এই তৃতীয় পা কোথায় রাখবেন তা বলিকে জিজ্ঞাসা করলে, বলি তাঁর মাথা নত করে তৃতীয় পা রাখার অনুরোধ করেন। বলি তৃতীয় পদ বলির মাথায় রাখার সাথে সাথে বলি বিষ্ণুর স্তব করতে থাকেন। এমন সময় প্রহ্লাদ এসে বলির বন্ধন মুক্তির জন্য অনুরোধ করলে, বিষ্ণু বলিকে মুক্তি দেন এবং বলি সত্য রক্ষার জন্য বহুকষ্ট স্বীকার করেছেন বলে, বিষ্ণু দেবতাদের দুষ্প্রাপ্য রসাতলকে তাঁর বাসের জন্য দান করেন। উল্লেখ্য, বলিকে সাহায্য করতে গিয়ে শুক্রাচার্যের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।