বরুণ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| হিন্দু দৈবসত্তা | দৈবসত্তা | আধ্যাত্মিক সত্তা | বিশ্বাস | ্রজ্ঞা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে ইনি লোকপাল, দশদিকের অধিকর্তা ও জলের দেবতা ইনি বারুণী নামে সমুদ্র থেকে উত্থিত সুরা পান করতেন মহাভারতের মতে- ইনি কর্দম ঋষির পুত্র বেদে বরুণকে সহস্রলোচন নামে চিহ্নিত করা হয়েছে বেদে আলোর দেবতা মিত্র ও জলের দেবতা বরুণ একত্রে মিত্রাবরুণ নামে পূজিত হতে দেখা যায়কাশকে আর্যরা বরুণ নামে পূজা করতেন উল্লেখ্য বরুণ অর্থ আবৃতর্যরা আকাশকে একটি বিশাল সমুদ্র হিসাবে বিবেচনা করতেনবার আকাশ ও সমুদ্রের মিলনস্থানকে বরুণের অবস্থান হিসাবে বিবেচনা করতেন একেও যমের মত পাপপূণ্যের বিচারক হিসাবে বিবেচনা করা হত বরুণের ক্ষেত্র থেকে সূর্যের উদয় হয় বলে- সূর্যকে বরুণের চক্ষু বিবেচনা করা হত এর গায়ের রঙ ছিল জলবিন্দুর মতো সাদা এবং গৌর মৃগের মত বলবান
 

জলের দেবতা হিসাবে ইনি অব্জিদেব, অম্বুপ, অম্বুপতি, অম্ভঃপতি অর্ণবমন্দির নামে পরিচিত। পক্ষান্তরে অদিতির পুত্র হিসাবে- ইনি অদিতিজ, অদিতিতনয়, অদিতিনন্দন, অদিতিপুত্র, অদিতিসূত নামে অভিহিত হয়ে থাকেন।


কথিত আছে একই সময় মিত্র ও বরুণ উর্বশীকে দেখে কামনায় অধীর হয়ে একটি কুণ্ডে বীর্যপাত করেন
এই কুণ্ড থেকে প্রথমে অগস্ত্য ও পরে বশিষ্ঠ মুনির জন্ম হয় খাণ্ডববন দহনের সময় বরুণ অর্জুনকে চন্দ্র প্রদত্ত গাণ্ডীব ধনু, দুটি অক্ষয় তূণীর ও কপিধ্বজ রথ দান করেন একই সময় ইনি কৃষ্ণকে একটি চক্র ও কৌমদকী নামক গদা উপহার হিসাবে প্রদান করেন বরুণ চন্দ্রের কন্যা ও উতথ্যের স্ত্রী ভদ্রাকে হরণ করেন বিশেষভাবে অনুরোধ করার পরও ভদ্রাকে ফিরিয়ে না দেওয়াতে উতথ্য সমুদ্রের সমস্ত পানি পান করা শুরু করেন ফলে বরুণ অত্যন্ত ভীত হয়ে, ভদ্রাকে উতথ্যের কাছে ফিরিয়ে দেন