চিত্রাঙ্গদা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে এই নামে একাধিক চরিত্র পাওয়া যায়।
১. মণিপুরের রাজা চিত্রভানুর কন্যা। এই বংশের অন্যতম পূর্ব-পুরুষ রাজা প্রভঞ্জন মহাদেবের তপস্যা করে একটি বর লাভ করেছিলেন যে, তাঁর বংশের প্রত্যেক পুরুষই একটিমাত্র সন্তান লাভ করবে এবং তা হবে পুত্র সন্তান। হঠাৎ নিয়মভঙ্গ হয়ে, সেই বংশের মহারাজা চিত্রভানু'র একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পিতার নামের সাথে সঙ্গতি রেখে এই কন্যাটির নাম রাখা হয়েছিল চিত্রাঙ্গদা। দীর্ঘদিনের প্রচলিত রাজ ঐতিহ্য অনুসারে, রাজা এই কন্যাকে পুত্রের মতো করে লালন-পালন করলেন।
দ্রৌপদী'র সাথে পঞ্চপাণ্ডবের বিবাহের পর, নারদ নিয়ম করে দেন যে– একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দ্রৌপদী একজন মাত্র পাণ্ডবের স্ত্রী হিসাবে থাকবেন। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অধীকারপ্রাপ্ত পাণ্ডব ব্যতীত অন্য কোন পাণ্ডব দ্রৌপদীকে গ্রহণ করলে বা দ্রৌপদীর সাথে অধিকারপ্রাপ্ত পাণ্ডবের বিহারকালে অন্য পাণ্ডব দর্শন করলে, তাঁকে ১২ বৎসর বনবাসী থাকতে হবে। ঘটনাক্রমে একবার এক ব্রাহ্মণকে সাহায্য করার জন্য অর্জুন অস্ত্রাগারে প্রবেশ করলে, সেখানে যুধিষ্ঠিরের সাথে দ্রৌপদীকে এক শয্যায় দেখতে পান। এই কারণে ইনি ১২ বৎসর বনবাসের জন্য গৃহত্যাগ করেন। বনবাসকালে ইনি বিভিন্নস্থানে ভ্রমণ করে বেড়ান। ঘুরতে ঘুরতে মণিপুরে এসে চিত্রাঙ্গদাকে দেখে মুগ্ধ হন এবং বিবাহের প্রস্তাব দেন। চিত্রাঙ্গদার সন্তান মণিপুরের রাজ্যের বংশধর হবে, এই শর্তে মণিপুরের রাজা চিত্রভানু, অর্জুনের সাথে চিত্রাঙ্গদার বিবাহ দিতে সম্মত হন। বিবাহের পর, অর্জুন সেখানে তিনবৎসর অতিবাহিত করেন। চিত্রাঙ্গদার গর্ভে অর্জুনের একটি পুত্র সন্তান জন্মে। এই পুত্রের নাম রাখা হয় বভ্রূবাহন। মণিপুর থেকে অর্জুন আসার সময় বিবাহের শর্তানুসারে চিত্রাঙ্গদা ও তাঁর পুত্র মণিপুরে রেখে আসেন।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের শেষে যুধিষ্ঠির যজ্ঞের সময় ইনি হস্তিনাপুরে আসেন। এরপর থেকে ইনি অর্জুনের সাথে হস্তিনাপুরে বসবাস করতে থাকেন।২. রাবণের স্ত্রী'র নাম। ইনি বীরবাহুর মা ছিলেন।
৩. ইক্ষ্বাকুবংশীয় রাজা ককুৎস্থর কন্যা।