ধৃষ্টদ্যুম্ন
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
দ্রোণের
হত্যার জন্য দ্রুপদের পুত্রেষ্ঠি যজ্ঞ থেকে ইনি বর্ম ও ধনুসহ জন্মলাভ করেন।
এই যজ্ঞ থেকে দ্রৌপদীও জন্মলাভ করেছিলেন।
দ্রোণাচার্যের কাছে ইনি ধনুর্বেদ শিক্ষা করেন।
দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরকালে ইনি সভারক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইনি লক্ষ্যভেদ বিষয়ক ঘোষণা দেন।
পাণ্ডবরা ১২ বৎসরের জন্য বনবাসী হলে ইনি সেখানে পাণ্ডবদের সাথে দেখা করেন। পাণ্ডবপক্ষের সাতজন সেনাপতির অন্যতম ও বুহ্য-রচনায় কুশলি ছিলেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ধৃষ্টদ্যুম্ন পাণ্ডবপক্ষ অবলম্বন করেন। ইনি যুদ্ধের দ্বিতীয় দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত পাণ্ডব সেনাদের নেতৃত্ব দেন। যুদ্ধে ইনি বহু কৌরবসৈন্য হত্যা করেন। যুদ্ধের পঞ্চদশ দিনে দ্রোণ তাঁর একমাত্র পুত্র অশ্বত্থামার মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ যুধিষ্ঠিরের কাছ থেকে শুনে- শোকাচ্ছন্ন অবস্থায় ধনুর্বাণ ত্যাগ করেন। এই সময় ইনি প্রায়োপবেশনে দেহত্যাগের জন্য রথের উপর যোগাসনে উপবেশন করলে, ধৃষ্টদ্যুম্ন খড়্গাঘাতে নিরস্ত্র দ্রোণের শিরশ্ছেদ করেন। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পাণ্ডবপক্ষেই ধৃষ্টদ্যুম্ন তিরস্কৃত হন ও সাত্যকির সাথে তাঁর যুদ্ধের উপক্রম হয়। তখন কৃষ্ণ, যুধিষ্ঠির, ভীম, সহদেব ইত্যাদির চেষ্টায় এই কলহ নিবারিত হয়। কুরুক্ষেত্র-যুদ্ধের শেষে পাণ্ডবশিবিরে নৈশ হত্যাকাণ্ডের সময় অশ্বত্থামা পিতৃহত্যার প্রতিশোধরূপে নিদ্রিত ধৃষ্টদ্যুম্নকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।