দুঃশাসন
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে
ইনি ছিলেন ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর দ্বিতীয় পুত্রইনি দুর্যোধনের অতি প্রিয় ছিলেন এবং এঁর পরামর্শ অনুসারে দুর্যোধন সমস্ত কাজ করতেনযুধিষ্টির যখন কৌরবদের সাথে অক্ষক্রীড়ায় সম্মতি দেন ও দ্রৌপদীকে পণ রেখে পরাজিত হন, তখন দুর্যোধনের আদেশে দুঃশাসন একবস্ত্রা এবং রজঃস্বলা দ্রৌপদীকে কেশাকর্ষণ করে রাজসভায় নিয়ে আসেনপরে কর্ণের পরামর্শমত দ্রৌপদীকে বিবস্ত্র করতে চেষ্টা করেনএই সময় দ্রৌপদীর কাতর প্রার্থনায় শ্রীকৃষ্ণ বস্ত্ররূপে তাঁকে আবৃত করে রেখেছিলেনফলে দুঃশাসন দ্রৌপদীকে বিবস্ত্র করতে অসমর্থ হনএই অপমানের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য পাণ্ডবদের বনে যাওয়ার সময় ভীম দুঃশাসনের বুকের রক্ত পান ও সেই রক্তে দ্রৌপদীর কেশ রঞ্জিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হনউল্লেখ্য, এই প্রতিজ্ঞা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত দ্রৌপদীও চুল বাঁধেন নিকুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দুঃশাসন অভিমন্যু ও সহদেবের কাছে পরাজিত হনযুদ্ধের অষ্টাদশ দিনে ভীমসেনের গদাঘাতে দুঃশাসন ভূপতিত হনপরে তীক্ষ্ণ অস্ত্রাঘাত তাঁর বক্ষ বিদীর্ণ করে রক্তপান করেনএরপর ভীম তার শিরশ্ছেদ করে, দুঃশাসনকে হত্যা করেন