ঘটোৎকচ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
দ্বিতীয় পাণ্ডব ভীমের ঔরসে হিড়িম্বা নামক রাক্ষসীর গর্ভে
এঁর জন্ম হয়।
রাক্ষসদের জন্মরীতি অনুসারে ইনি জন্মমাত্রেই যৌবনলাভ করেন।
তাঁর মাথা হাতির মত এবং তা কেশশূন্য বলে তাঁর নাম রাখা হয় ঘটোত্কচ।
ইনি জন্মের পর বিদায় কালে পাণ্ডবদের জানান যে -স্মরণমাত্রই তিনি পাণ্ডবদের সামনে
হাজির হবেন।
পাণ্ডবরা বদরিকা আশ্রমে যাওয়ার সময় ভীম তাঁকে স্মরণ করেন।
ফলে অঙ্গীকার অনুসারে ইনি ভীমের সামনে হাজির হন।
এরপর ভীমের আদেশে পরিশ্রান্ত দ্রৌপদীকে কাঁধে করে যথাস্থানে পৌঁছে দেন।
কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধে ইনি পাণ্ডবের পক্ষালম্বন করেন।
এই যুদ্ধে ইনি মায়াযুদ্ধ দ্বারা কৌরবদের অতীষ্ট করে তোলেন।
ঘটোত্কচ মায়াযুদ্ধে অলক্বুষকে পরাজিত করে খড়্গাঘাতে এর মাথা কেটে ফেলেন।
যুদ্ধের ১৪তম দিনে তাঁর পরাক্রম সহ্য করতে না পেরে কৌরবদের অনুরোধে কর্ণ ইন্দ্র
প্রদত্ত বৈজন্তী শক্তি নিক্ষেপ করে ঘটোত্কচকে হত্যা করেন।
উল্লেখ্য কর্ণ এই অস্ত্র অর্জুনকে হত্যা করার জন্য রেখেছিলেন।
মৃত্যুকালে ঘটোত্কচ তাঁর দেহ বিস্তৃত করে কৌরব সৈন্যদের উপর পতিত হন।
ফলে তাঁর দেহের নিচে চাপা পড়ে বহু কৌরব সৈন্য নিহত হয়।
এঁর পুত্রের নাম ছিল অঞ্জনাপর্ব।