কালকা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু
পৌরাণিক কাহিনি মতে–
কশ্যপের স্ত্রী।
রামায়ণ ও মহাভারতের মতে ইনি দক্ষের কন্যা,
কিন্তু বিষ্ণুপুরাণের মতে–
ইনি এবং বৈশ্যানরের কন্যা পুলোমা। কালকার
গর্ভজাত ৬০,০০০
বিক্রমশালী দানব এই নামে পরিচিত ছিল।
এরা সকলেই বৃত্রাসুরের অনুচর ছিল।
বৃত্রাসুরকে হত্যা করার পর,
কালকারা প্রাণভয়ে সমুদ্রে তলদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে।
কিন্তু রাত্রিকালে সমুদ্রের তলদেশ থেকে উঠে এসে আশ্রমবাসী ঋষিদের উপর তারা অত্যাচার
করতো।
এর প্রতিকারের জন্য ঋষিরা নারদের শরণাপন্ন হন।
নারদ পরে বিষ্ণুর পরামর্শে মহর্ষি অগস্ত্যকে সমুদ্র পান করতে অনুরোধ করেন।
অগস্ত্য সমুদ্র পান করলে- দেবতারা কালকেয়দের হত্যা করেন।
মহাভারতের মতে কালকা বহু বত্সর তপস্যার দ্বারা এই বর লাভ করেছিল যে,-
কালকেয় নামক তাঁর পুত্ররা দেবতা,
রাক্ষস,
নাগদের অবোধ্য হবে এবং ব্রহ্মা-নির্মিত হিরণ্যপুর নামক দিব্য নগরে বাস করবে।
দেবলোকে অস্ত্র শিক্ষার পর ইন্দ্রের অনুরোধে অর্জুন পাশুপাত (রৌদ্র) নামক অস্ত্র
প্রয়োগে বিনাশ করেন।