কার্তবীর্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে এঁর পিতা কৃতবীর্য ছিলেন নর্মদা-তীরস্থ হৈহয় রাজ্যের রাজা এই রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল মাহিষ্মতী কৃতবীর্যের পুত্র হিসাবে ইনি কার্তবীর্য নামে পরিচিত হন এর প্রকৃত নাম অর্জুন হলেও কার্তবীর্যার্জুন নামে সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন এঁর স্ত্রীর নাম ছিল মনোরমা।  দত্তাত্রেয় মুনির বরে ইনি সহস্রবাহু লাভ করেন রাবণ দিগ্বিজয়ে বের হয়ে নর্মদা-তীরে মহাদেবের পূজা আরম্ভ করেন এই সময় কার্তবীর্য নর্মদা-তীরস্থ এই পূজাস্থলের অদূরে জলক্রীড়ারত ছিলেন ইনি খেলাচ্ছলে তাঁর সহস্র বাহু দ্বারা নর্দমার জল বন্ধ করে দিলে, রাবণের পূজার বিঘ্ন ঘটে এতে রাবণ ক্ষিপ্ত হয়ে কার্তবীর্যকে আক্রমণ করেন যুদ্ধে রাবণ পরাজিত ও বন্দী হন পরে রাবণের স্বর্গস্থ পিতামহ পুলস্ত্যের অনুরোধে কার্তবীর্য রাবণকে মুক্তি দেন সেই সূত্রে এঁর সাথে রাবণের বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়। 

একবার কার্তবীর্য সসৈন্যে অভিযানকালে অত্যন্ত ক্ষুধার্ত হয়ে জমদগ্নি ঋষির আশ্রমে উপস্থিত হন জমদগ্নি তাঁর কপিলা নামক কামধেনুর সাহায্যে কার্তবীর্যের সকল সৈন্যের খাবার ও পানীয় প্রদান করেন এরপর ইনি ঋষির কাছে উক্ত কামধেনু প্রার্থনা করলে জমদগ্নি তা দিতে অস্বীকার করেন ফলে ইনি জোর করে উক্ত কামধেনু অধিকার করতে অগ্রসর হলে- মুনি দৈববলে একটি সেনাবাহিনী সৃষ্টি করে কার্তবীর্যকে পরাজিত করেন এরপর ইনি রাজধানীতে ফিরে পুনরায় সৈন্য সংগ্রহ করে জমদগ্নিকে আক্রমণ করেন এইবারের যুদ্ধে জমদগ্নি নিহত হন কিন্তু কামধেনু স্বর্গে গমন করলে ইনি তা অধিকার করতে ব্যর্থ হন যুদ্ধচলাকালে জমদগ্নির পুত্র পরশুরাম অনত্র্য ছিলেনশ্রমে ফিরে ইনি প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরে কার্তবীর্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন এই যুদ্ধে প্রথমে পরশুরাম তাঁর কুঠার দ্বারা কার্তবীর্যের সহস্রবাহু কেটে ফেলেন এবং পরে তাঁকে হত্যা করেন