কপিল
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে―
ঋষি বিশেষ।
কর্দম প্রজাপতির ঔরসে দেবহুতির গর্ভে এঁর জন্ম হয়েছিল।
ইনি সাংখ্যদর্শন প্রণেতা।
এই দর্শনে ঈশ্বরের সত্তা অস্বীকার করা হয়েছে।
তাঁর মতে জগত্ জড়-প্রকৃতি থেকে উদ্ভূত।
তাঁর রচিত সাংখ্যদর্শনের সংখ্যা ২৫টি।
ইনি এই সাংখ্য-দর্শন আসুরি নামক জনৈক শিষ্যকে দান করেন।
পরে আসুরির শিষ্য পঞ্চশিখ তা সমগ্র ভারতে প্রচার করেন।
একাগ্র চিত্তে তপস্যার জন্য ইনি পাতালে আশ্রম তৈরি করেছিলেন।
একবার সগর রাজা অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করলে, ইন্দ্রর রাক্ষসের বেশে যজ্ঞস্থলে এসে-
যজ্ঞের ঘোড়া হরণ করে এই মুনির আশ্রমে রেখে আসেন।
সগরের ষাট হাজার পুত্র এই ঘোড়া খুঁজতে খুঁজতে পাতালে এসে কপিল মুনির আশ্রমে
ঘোড়াটিকে দেখতে পান।
ঘোড়া চোর মনে করে সগর-রাজার ছেলেরা কপিল মুনিকে আক্রমণ করলে,
মুনি ক্রুদ্ধ হয়ে- সগরের ষাট হাজার পুত্রকে ভস্ম করেন।
এরপর সগর রাজার পুত্র
অংশুমান
পাতালে প্রবেশ করে মুনিকে সন্তুষ্ট করে যজ্ঞের ঘোড়া
নিয়ে আসেন।
এই সময়
অংশুমান
এঁর কাছ থেকে জেনে নেন যে গঙ্গার জলস্পর্শে সগরের ষাট হাজার পুত্র জীবন পাবে।