কৃতবর্মা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
ইনি যাদব বংশীয়
যোদ্ধা।
এঁর পিতার নাম ছিল হৃদিকা।
কৃষ্ণের সাথে সত্যভামার বিবাহের আগে,
সত্যভামাকে বিবাহ করার জন্য কৃতবর্মাসহ অনেকেই আগ্রহী ছিলেন।
কিন্তু সত্যভামার পিতা সত্রাজিত্,
কৃষ্ণের সাথে সত্যভামার বিবাহ দিলে এঁরা সত্রাজিত্কে হত্যা করে স্যামন্তক'
নামক স্বর্ণ উত্পন্নকারী মণি দখলের জন্য শতধন্বাকে উত্তেজিত করেন।
পরে শতধন্বা সত্রাজিত্কে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে এই মণি অধিকার করেন।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ইনি কৌরবপক্ষে যোগদান করেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের শেষে কৌরব পক্ষের যে কজন বীর বেঁচে ছিলেন ইনি তাঁদের মধ্যে একজন। কুরুক্ষেত্রের ত্রয়োদশ দিনে দ্রোণাচার্য চক্রব্যুহ রচনা করলে, অভিমন্যু সে ব্যুহ ভেদ করেন। এই সময় যে ছয়জন রথী অভিমন্যুকে বেষ্টন করেন- তাঁদের মধ্যে কৃতবর্মা ছিলেন। উল্লেখ্য শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধে অন্যায়ভাবে অভিমন্যুকে হত্যা করা হয়। যুদ্ধের ১৮ দিনে দুর্যোধনের সকল সৈন্য নিহত হলে, দুর্যোধন পালিয়ে দ্বৈপায়ন হ্রদে যান এবং মায়া দ্বারা জলের স্তম্ভ তৈরি করে সেখানে লুকিয়ে থাকেন। এই সময় অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য ও কৃতবর্মা যুদ্ধের পরামর্শ করতে এসেছিলেন। অশ্বাত্থামা যখন রাত্রিকালে পাণ্ডব শিবিরে ঢুকে ঘুমন্ত পাণ্ডব বীরদের হত্যা করেন, তখন কৃপাচার্য ও কৃতবর্মা পাণ্ডব শিবিরের দ্বার রক্ষা করেন।
যদুবংশ ধ্বংসের সময় সাত্যকি সুরাপানে মাতাল হয়ে- ঘুমন্ত পাণ্ডবদের (পঞ্চপাণ্ডব ব্যতীত) হত্যা করার জন্য কৃতবর্মাকে তিরস্কার করেন। কৃতবর্মাও ভূরিশ্রবাকে হত্যা করার জন্য সাত্যকিকে তিরস্কার করেন। এই সময় সাত্যকি ক্ষিপ্ত হয়ে খড়গ দ্বারা কৃতবর্মাকে হত্যা করেন।