কুম্ভীনসী

হিন্দু পৌরাণিক কাহিননি মতে- এই নামে উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি নাম পাওয়া যায়। যেমন

. রাবণের মাসী'র নাম সুমালী'র ঔরসে কেতুমতীর গর্ভে ইনি জন্মগ্রহণ করেন

. বিশ্বাবসুর কন্যা সম্পর্কে ইনি রাবণের বোন ছিলেন একবার রাবণ দিগ্বিজয়ে বের হন এই সময় কুম্ভকর্ণ ঘুমিয়ে ছিলেন আর বিভীষণ তপস্যারত ছিলেন এই অবস্থায় মধু নামক দৈত্য এসে কুম্ভীনসীকে হরণ করে বিবাহ করেন রাবণ এই সংবাদ পেয়ে মধুকে হত্যা করতে অগ্রসর হলে কুম্ভীনসী রাবণের পায়ে ধরে স্বামীকে রক্ষা করেন পরে মধু'র সাথে রাবণের বন্ধুত্ব হয়।  কুম্ভীনসীর গর্ভে মধু'র লবণ নামে এক পুত্র ও মধুমতী নামক একটি কন্যা জন্মগ্রহণ করে লবণ শত্রুঘ্ন কর্তৃক নিহত হন এবং মধুমতীর সাথে সূর্যবংশের হর্যশ্বের বিবাহ হয়। 

. গন্ধর্বরাজ অঙ্গারপর্ণের স্ত্রী  অঙ্গারপর্ণ সোমাশ্রয়ণ তীর্থে সখীদের সাথে নিয়ে জল-বিহার করছিলেন এমন সময় পাণ্ডবরা, সেখানে উপস্থিত হলে, জল-বিহারে বিঘ্ন ঘটেএ কারণে অঙ্গারপর্ণ রেগে যান এবং অর্জুনের সাথে তর্ক-বিতর্কে  জড়িয়ে পরেন। শেষ পর্যন্ত এই তর্ক-বিতর্ক যুদ্ধ পরিণত হয়। যুদ্ধে অর্জুন অঙ্গারপর্ণকে পরাজিত কর বন্দী করেন এবং তাঁর রথ পুড়িয়ে দেনএর থেকে অঙ্গারপর্ণের নাম হয়- দগ্ধরথ এরপর অঙ্গারপর্ণের স্ত্রী কুম্ভীনসী যুধিষ্ঠিরের কাছে স্বামীর মুক্তির আবেদন করেন