পাণ্ডব
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে পাণ্ডু রাজার পাঁচটি ক্ষেত্রজ পুত্র

একবার একটি বনে, কিন্দম মুনি হরিণের রূপ ধারণ করে একটি হরিণীর সাথে সঙ্গম করছিলেন। ওই বনে পাণ্ডু মৃগয়া গিয়ে সঙ্গমরত হরিণের উপর শর নিক্ষেপ করে হত্যা করেন। মৃত্যুর আগে মুনি স্বমূর্তি ধারণ করে, পাণ্ডুকে অভিশাপ দিয়ে বলেন

'মৃগভ্রমেই আমার উপর শরনিক্ষেপ করিয়াছ, এ নিমিত্ত তোমার ব্রহ্মহত্যার পাপ হইবে না, কিন্তু সঙ্গমসময়ে আমাকে বধ করাতে তোমার যে পাপ হইয়াছে, তাহার ফল অবশ্যই তোমাকে ভোগ করিতে হইবে। তুমি যে সময়ে স্ত্রীসংসর্গ করিবে, সেই সময়ে তোমার মৃত্যু হইবে। তুমি যে পত্নীর সইত সংসর্গ করিয়া কালগ্রাসে পতিত হইবে, তিনি ভক্তিভাবে তোমার সহগামিনী হইবেন। হে রাজন! তুমি যেমন সুখের সময়ে আমাকে দুঃখ দিলে, সেইরূপ তোমাকেও সুখকালে দুঃখ পাইতে হইবে।' [মহাভারত, আদিপর্ব: অষ্টাদশাধিকশততম অধ্যায়। পাণ্ডুর প্রতি মৃগরূপী মুনির শাপ]

একবার একটি বনে, কিন্দম মুনি হরিণের রূপ ধারণ করে একটি হরিণীর সাথে সঙ্গম করছিলেন। ওই বনে পাণ্ডু মৃগয়া গিয়ে সঙ্গমরত হরিণের উপর শর নিক্ষেপ করে হত্যা করেন। মৃত্যুর আগে মুনি স্বমূর্তি ধারণ করে, পাণ্ডুকে অভিশাপ দিয়ে বলেন

'মৃগভ্রমেই আমার উপর শরনিক্ষেপ করিয়াছ, এ নিমিত্ত তোমার ব্রহ্মহত্যার পাপ হইবে না, কিন্তু সঙ্গমসময়ে আমাকে বধ করাতে তোমার যে পাপ হইয়াছে, তাহার ফল অবশ্যই তোমাকে ভোগ করিতে হইবে। তুমি যে সময়ে স্ত্রীসংসর্গ করিবে, সেই সময়ে তোমার মৃত্যু হইবে। তুমি যে পত্নীর সইত সংসর্গ করিয়া কালগ্রাসে পতিত হইবে, তিনি ভক্তিভাবে তোমার সহগামিনী হইবেন। হে রাজন! তুমি যেমন সুখের সময়ে আমাকে দুঃখ দিলে, সেইরূপ তোমাকেও সুখকালে দুঃখ পাইতে হইবে।' [মহাভারত, আদিপর্ব: অষ্টাদশাধিকশততম অধ্যায়। পাণ্ডুর প্রতি মৃগরূপী মুনির শাপ]

 

এই অভিশাপের কারণে, কুন্তী এবং মাদ্রী উভয়ই স্বামী-সংসর্গ থেকে বঞ্চিত হন পরে কুন্তী সন্তান কামনায় পাণ্ডুর অনুরোধে তিন দেবতার সাথে মিলিত হন এবং তিনটি সন্তান লাভ করেন। কুন্তীর পুত্ররা হলেন যুধিষ্ঠির, ভীম অর্জুন মাদ্রী ও অনুরূপভাবে সন্তান কামনা করে পাণ্ডুকে জানালে, কুন্তী এই মন্ত্রটি একবারের জন্য মাদ্রীকে দান করেন মাদ্রী একবার অশ্বিনীকুমার-দেবতাদ্বয়কে আহ্বান করে, নকুল সহদেব নামে দুটি সন্তান লাভ করে। 

পাণ্ডুর স্ত্রীদ্বয়ের (সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্র) গর্ভজাত সন্তানদের সংখ্যা পাঁচটি। তাই  এঁদেরকে পঞ্চপাণ্ডব বলা হয়। জন্মের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এঁরা সংখ্যা দ্বারা নির্দেশিত হয়ে থাকে। যেমন

১. প্রথম পাণ্ডব: যুধিষ্ঠির
২. দ্বিতীয় পাণ্ডব: ভীম
৩. তৃতীয় পাণ্ডব:
অর্জুন
৪. চতুর্থ পাণ্ডব: নকুল

৫. পঞ্চম পাণ্ডব:
সহদেব