নলকুবের
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
নলকুবের ছিলেন কুবেরের পুত্র।
একদিন স্বর্গের অপ্সরা রম্ভা অভিসারিকার বেশে নলকূবরের কাছে যাচ্ছিলেন।
এমন সময় রাবণ রম্ভাকে ধর্ষণ করেন।
পরে নলকুবের এই বিষয় জানতে পেরে অভিশাপ দেন যে, রাবণ কামের বশীভূত হয়ে যদি বলপূর্বক
কোন নারীর সতীত্ব নাশ করতে যান,
তবে সেই দিনই
তাঁর মৃত্যু হবে।
এই অভিশাপের ভয়েই সীতা রাবণের অত্যাচার হতে রক্ষা পান।
একবার নলকুবের
এবং তার ভাই মণিগ্রীবের সাথে সুরাপানে মত্ত হয়ে, গঙ্গাজলে নগ্না রমণীদের সঙ্গে
জলক্রীড়া করেছিলেন।
নারদ সেই সময় সেখানে এসে উপস্থিত হলে,
নারীরা
অভিশাপের ভয়ে কাপড় পরিধান করলেন।
কিন্তু নলকূবের ও মণিগ্রীব মত্ত অবস্থায় কাপড় না পড়লে,
নারদ এই
দুই ভাইকে স্থাবরযোনি প্রাপ্ত হওয়ার অভিশাপ দেন।
এর ফলে এই দুই ভাই বৃন্দাবনে যমলার্জুনরূপে জন্মগ্রহণ করেন।
পরে শ্রীকৃষ্ণের স্পর্শে শাপমুক্ত হয়েছিল।