পুলস্ত্য
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে–
ইনি
ছিলেন
ব্রহ্মার দশজন মানসপুত্রের একজন।
ইনি
ব্রহ্মার কান থেকে জন্মেছিলেন।
সুমেরু পর্বতের নিকটবর্তী তৃণবিন্দু মুনির আশ্রমের কাছে ইনি তপস্যায় কাটাতেন।
এই সময় বিভিন্ন অপ্সরারা তাঁর তপস্যার বিঘ্ন ঘটাতে থাকলে,
ইনি
অভিশাপ দেন যে– যে কোনো নারী তাঁর তপস্যাস্থলে এসে তাঁর দৃষ্টিতে পতিত হলে, সে
তৎক্ষণাৎ গর্ভবতী হবে।
একদিন মুনি তৃণবিন্দু'র
কন্যা হবির্ভূ পুলস্ত্যের বেদপাঠ শুনতে শুনতে গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
পরে তৃণবিন্দুর অনুরোধে পুলস্ত্য হবির্ভূকে বিবাহ করেন।
গর্ভবতী হবির্ভূ পরে বিশ্রবা নামক এক মুনির জন্মদান করেন।
আর বিশ্রবা মুনির ঔরসে জন্ম হয়েছিল রাবণ ও তাঁর অন্যান্য ভাইবোন।
পুলস্তের উত্তরপুরুষ বলে রাবণ-বংশের সকলে পৌলস্ত্য নামে অভিহিত হতো।