পুরু
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
ইনি
ছিলেন চন্দ্রবংশীয় রাজা।
যযাতির ঔরসে ও শর্মিষ্ঠার গর্ভে ইনি জন্মগ্রহণ করেন।
ইনি ছিলেন তাঁর সকল পুত্রদের মধ্যে কনিষ্ঠ।
এঁর থেকেই পুরুবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য পুরুর বংশধরদের পৌরব বলা হয়।
এই পৌরব বংশ থেকেই পরবর্তী সময়ে কৌরব ও পাণ্ডব বংশের সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য যযাতির প্রথমা স্ত্রী ছিলেন শুক্রাচার্যের কন্যা দেবযানী।
পরে ইনি দেবযানীর আগোচরে বিবাহ করেন দৈত্যরাজ বৃষপর্বার কন্যা শর্মিষ্ঠাকে।
বিষয়টি জানতে পেরে,
দেবযানী তাঁর
পিতা শুক্রাচার্যকে জানান।
ফলে,
শুক্রাচার্যের
অভিশাপে যযাতি অকালে জরাগ্রস্ত হন।
এরপর যযাতি শুক্রাচার্যের কাছে ক্ষমা চেয়ে- জরামুক্তির উপায় নির্ধারণের জন্য উপায়
জানতে চান।
উত্তরে শুক্রাচার্য জানান যে- অন্য কেউ তাঁর জরা গ্রহণ করতে রাজী হলে- যযাতি মুক্তি
পাবেন।
তবে উক্ত ব্যক্তি জরাগ্রস্থ হবেন।
এরপর যযাতি ঘরে ফিরে তাঁর সকল পুত্রকেই তাঁর জরা গ্রহণ করতে বলেন।
কিন্তু একমাত্র পুরু ব্যতীত অন্য কেউই জরা গ্রহণ করতে রাজী হন নি।
এরপর যযাতি তাঁর জরা পুরুর দেহে সঞ্চালিত করলে,
পুরু
বৃদ্ধ হয়ে যান এবং যযাতি যুবকে পরিণত হন।
এইভাবে বহু বত্সর যৌবন উপভোগ করার পর যযাতি পুরুকে তাঁর যৌবন ফিরিয়ে দেন।
পিতৃআজ্ঞা পালন করার কারণে সর্বকনিষ্ঠ পুত্রকে ইনি রাজা হিসাবে ঘোষণা দেন।