ঋষিশৃঙ্গ
বিশেষ্য { | পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | নৈপূণ্য | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}।
কাশ্যপবংশীয় বিভাণ্ডক ঋষির পুত্র
কোন এক সময় উর্বশীকে দেখে বিভাণ্ডক ঋষি জলের ভিতর বীর্যপাত করেন এক হরিণী সেই  জল পান করার সময় এই বীর্য পান করলে, হরিণী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। উল্লেখ্য এই হরিণী ছিলেন এক দেবকন্যা। ব্রহ্মার অভিশাপে হরিণীর রূপ লাভ করেছিলেন। ব্রহ্মা এই দেবকন্যাকে বলেছিলেন যে- সে একটি পুত্র প্রসব করার পর মুক্তি লাভ করবে। এই হরিণীরূপী দেবকন্যার গর্ভে ঋষিশৃঙ্গ মুনির জন্ম হয়েছিল। এঁর মাথায় একটি শিং ছিল বলে- ইনি এইরূপ নাম প্রাপ্ত হয়েছিলেন জন্মের পর থেকে যৌবনের আরম্ভ পর্যন্ত ইনি কোন নারীর মুখ দেখেন নি বলে- ইনি জিতেন্দ্রিয় হয়ে ওঠেন।            [দশাধিকশততম অধ্যায়, বনপর্ব, মহাভারত। কালীপ্রসন্নসিংহ অনূদিত। জ্যৈষ্ঠ ১৩৯৪, তুলিকলম কলিকাতা]
 

রাজা লোমপাদের রাজ্যে (অঙ্গদেশ) ১২ বৎসর বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে- ব্রাহ্মণরা ঋষিশৃঙ্গকে এই রাজ্যে আনার পরামর্শ দেন লোমপাদ এ জন্য কয়েকটি সুন্দরী বেশ্যা নিয়োগ করেন বেশ্যারা বিভাণ্ডকের অনুপস্থিতে বিভিন্নভাবে প্রলোভিত করে ঋষিশৃঙ্গকে লোমপাদের রাজ্যে আনতে সক্ষম হন ইনি এই রাজ্যে আসার পর বৃষ্টি হয় পরে ঋষির অভিশাপ থেকে রক্ষা পাবার জন্য লোমপাদ তাঁর কন্যা শান্তার সাথে ঋষিশৃঙ্গের বিবাহ দেন। [সপ্তম-দশম সর্গ। বালখণ্ড। বাল্মীকি রামায়ণ]।

এর কিছুদিন পর দশরথ ঋষিশৃঙ্গকে দিয়ে পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করান ফলে দশরথ রামসহ মোট চার সন্তানের পিতা হয়েছিলেন।