সৃঞ্জয়
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে– শ্বিত্যের পুত্র।
ইনি ছিলেন দেবর্ষি নারদ ও পর্বত নামক ঋষির বন্ধু।
একবার এঁরা দুজন সৃঞ্জয়ের সাথে দেখা করতে এসে সৃঞ্জয়ের কন্যাকে দেখে মুগ্ধ হন।
তখন নারদ এই কন্যাকে স্ত্রীরূপে পাওয়ার জন্য সৃঞ্জয়ের কাছে প্রার্থনা করলেন।
এতে পর্বত ক্রুদ্ধ হয়ে নারদকে নিজের কামনার কথা বললেন।
এই কারণে পর্বত নারদকে অভিশাপ দিয়ে বলেন যে,
তিনি (নারদ) নিজের ইচ্ছা অনুসারে স্বর্গে যেতে পারবেন না।
একইভাবে নারদও তখন পর্বতকে অভিশাপ দিয়ে বলেন যে,
তাঁর (নারদের) সঙ্গ ছাড়া তিনি (পর্বত) স্বর্গে যেতে পারবেন না।
পরস্পরের এই অভিশাপের ফলে দুই জনই সৃঞ্জয়ের রাজবাড়িতেই থেকে গেলেন।
এরপর রাজা সৃঞ্জয় ব্রাহ্মণদের সেবা করে সন্তুষ্ট করলেন।
ব্রাহ্মণরা তাঁকে আশীর্বাদ করলে,
একটি পুত্রের জন্ম হলো।
এই পুত্রের মলমুত্র ঘাম সবই ছিল সুবর্ণময়।
এই কারণে পুত্রের নামকরণ করা হয়েছিল সূবর্ণষ্ঠীবী।
কিছুদিন পরে একদল দসু্য স্বর্ণের লোভে পুত্রকে অপহরণ করেন এবং তাঁকে খণ্ড খণ্ড করে
কেটে ফেলেন।
এর ফলে সূবর্ণষ্ঠীবী মৃত্যুবরণ করলেন।
সেই সাথে তাঁর স্বর্ণ উত্পাদনী ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেল।
দসু্যরা পুত্রের শরীরের কোনো খণ্ড থেকেই বিন্দু মাত্র স্বর্ণ লাভ করলেন না।
এরপর দসু্যরা পরস্পরকে হত্যা করে নরকে গেল।
পুত্রের শোকে সৃঞ্জয় মরণাপন্ন হলে,
নারদ মৃতপুত্রের পুনর্জীবন পাবার বর দিলেন।
এই বরে সূবর্ণষ্ঠীবী আবার বেঁচে উঠেছিলেন।