শ্বেত
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে-
১।
ইনি বিরাটরাজের ঔরসে সুদেষ্ণার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ইনি পাণ্ডবদের পক্ষ নিয়েছিলেন।
যুদ্ধের প্রথম দিনে শল্য কর্তৃক শ্বেতের ছোট ভাই উত্তরা নিহত হলে,
ইনি ভ্রাতৃহত্যার প্রতিশোধের জন্য কৌরব সৈন্যদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
বিপুল বিক্রমে যুদ্ধের শেষে ইনি ভীষ্মের নিক্ষিপ্ত শরে নিহত হন।
২। ইনি ছিলেন বিদর্ভরাজ সুদেবের পুত্র। সুদেবের দুই স্ত্রীর গর্ভে শ্বেত ও সুরথ নামক দুটি পুত্রের জন্ম হয়। এর ভিতর শ্বেত ছিলেন বড়। পিতার মৃত্যুর পর শ্বেত রাজপদে অভিষিক্ত হন। বহুদিন রাজত্ব করার পর, ইনি বুঝতে পারলেন যে, তাঁর আয়ু শেষ হয়েছে। তাই তিনি তাঁর ছোট ভাই সুরথকে রাজ্য দান করে তপস্যা আরম্ভ করেন। তিনি কোন দান ছাড়াই সহস্র বত্সর তপস্যার ফলে ব্রহ্মলোক লাভ করেন। ব্রহ্মলোক ক্ষুত্পিপাসা বর্জিত স্থান হলেও, দানহীন তপস্যার কারণে এই সময় তাঁর ক্ষুধাতৃষ্ণা অক্ষুণ্ণই ছিল। ফলে, ব্রহ্মা তাঁকে নিজের মৃতদেহের মাংস আহার করার কথা বলেন। তবে, অগস্ত্য ঋষির দেখা পেলে, তাঁর এই শাস্তি দূর হবে বলে, ব্রহ্মা জানান।
এরপর শ্বেত পৃথিবীতে নেমে এসে নিজের মৃতদেহ ভক্ষণ করে ক্ষুধা মেটাতে থাকেন। উল্লেখ্য, মৃতদেহ খাওয়ার পরপরই ব্রহ্মার বরে ভঙ্গষিত অংশ আবার পূর্ণ হয়ে যেতো। বেশ কিছুদিন পর, অগস্ত্য এই স্থানে এসে মৃতদেহ দেখতে পান। এর কিছুক্ষণ পর, হংস-বাহিত একটি দিব্যরথে শ্বেতকে এই মৃতদেহের মাংস খেতে দেখে, ইনি তাঁকে এই জাতীয় খাবার গ্রহণের কারণ জানতে চান। শ্বেত অগস্ত্যকে চিনতে পেরে সকল কাহিনী ব্যক্ত করেন। এরপর ইনি সমস্ত ভোগ্যবস্তু অগস্ত্যকে দান করেন এবং মৃতদেহ ভক্ষণ থেকে মুক্তি পান।