শৈব্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে
এঁর পিতার নাম ছিল শিবি একবার তাঁর রাজ্যে অনাবৃষ্টির কারণে খাদ্যভাব দেখা দেয় এই সময় কশ্যপ, অত্রি, বশিষ্ঠ, ভরদ্বাজ, গৌতম, বিশ্বামিত্র, জমদগ্নি ও বশিষ্ঠের স্ত্রী অরুন্ধতী ব্রহ্মলোক লাভের জন্য কঠোর তপস্যা করে পৃথিবী ভ্রমণ করছিলেন এই ঋষিদের পরিচর্যা করার জন্য, পশুসখ নামে এক শূদ্র ও তার স্ত্রী গণ্ডা নিয়োজিত ছিল

রাজা অনাবৃষ্টি রোধের জন্য একটি যজ্ঞ করে, দক্ষিণা স্বরূপ তাঁর পুত্রকে এই ঋষিদের দান করেন এই পুত্র অকালে মৃত্যুবরণ করে কিন্তু খাদ্যাভাবে মহর্ষিরা তাঁদের জীবনরক্ষার জন্য এই মৃত পুত্রের দেহ রান্না করতে থাকেন এতে রাজা শৈব্য ঋষিদের এই কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন এবং ঋষিদের খাবার দেবার প্রতিজ্ঞা করেন ঋষিরা রাজার এই আশ্বাস শুনে, এই কাজ থেকে বিরত হলে, রাজা মন্ত্রীদের সাহায্যে বন থেকে ডুমুর সংগ্রহ করে ঋষিদের দিতে থাকেন এর কিছুদিন পর, রাজা ডুমুরের ভিতর স্বর্ণ প্রবেশ করিয়ে পাঠালে, অত্রি তা বুঝতে পেরে সেই ফল প্রত্যাখ্যান করেন এবং সকলকে নিয়ে অন্যত্র প্রস্থান করেন এই দান প্রত্যাখ্যাত হওয়ায়, রাজা শৈব্য এক যজ্ঞ করে যাতুধানী নামে এক দানবী সৃষ্টি করেন রাজা ঋষিদের ও তাদের দাস-দাসীদের নাম জিজ্ঞাসা করে সকলকে হত্যা করতে যাতুধানীকে আদেশে দেন রাজার আদেশে ঋষিদের হত্যা করার জন্য যাতুধানী এক সরোবরে অপেক্ষা করতে থাকে এই সরোবরে ঋষিরা পদ্মফুল তুলতে এলে, যাতুধানী বললো যে, এই সরোবরে নামতে হলে, সবার নাম বলতে হবে ঋষিরা তাঁদের নাম বললে, যাতুধানী এই সকল নামের অর্থ বুঝতে পারলো না বটে কিন্তু তবু সরোবরে তাঁদের নামতে দিল কিছুক্ষণ পর পরিব্রাজক বেশে ইন্দ্র একটি কুকুর সাথে করে সেখানে উপস্থিত হলে, যাতুধানী ইন্দ্রের নামও জিজ্ঞাসা করে ইন্দ্র তাঁর নাম বললে, যাতুধানী ইন্দ্রের নাম বুঝতে না পেরে, পুনরায় তাঁকে নাম জিজ্ঞাসা করলো ইন্দ্র এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যাতুধানীর মাথায় লাঠির আঘাত করে, ফলে যাতুধানীর মৃত্যু হয়

এদিকে ঋষিরা পদ্মফুল তুলে তীরে রেখে, পুনরায় জলে নেমে তর্পণ করলেন কিন্তু পাড়ে উঠে দেখলেন যে, তাঁদের পদ্মফুল অপহৃত হয়েছে এতে ঋষিরা অপহরণকারীর উদ্দেশ্যে অভিশাপ দেন এরপর ইন্দ্র নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন যে, ঋষিদের পরীক্ষা ও উদ্ধার করতে এসেছেন ঋষিরা প্রলোভন ত্যাগ করে ক্ষুধা সহ্য করার জন্যে সর্বকামপ্রদ অক্ষলোক লাভ করবেন এরপর সকলে ইন্দ্রের সহিত স্বর্গে গমন করলেন


শৈব্যা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে

সূর্যবংশীয় রাজা হরিশচন্দ্রের স্ত্রীর নাম শৈব্য দেখুন : হরিষচন্দ্র
শাম্বদেশের রাজা দ্যুমৎসেনের স্ত্রী
পুরুবংশীয় রাজা জ্যমঘের স্ত্রী
শতধনু নামক রাজার স্ত্রী।  দেখুন : শতধনু


শৈলুষ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা  | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে
গান্ধার দেশের রাজা কেকয়রাজের পরামর্শে ভরত-পুত্ররা এই রাজ্য শৈলুষের কাছ থেকে কেড়ে নেন উল্লেখ্য, বিভীষণের স্ত্রী সরমা শৈলুষের কন্যা