শিখণ্ডী
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
ভীষ্মকে হত্যা
করার জন্য,
কাশীরাজের অম্বা নামক কন্যা পরজন্মে দ্রুপদ রাজার সন্তান হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন।
এই জন্মে ইনি নপুংসক হয়ে জন্মেছিলেন।
দ্রুপদরাজের কোন সন্তান না হওয়ায় তিনি মহাদেবের তপস্যা আরম্ভ করেন। তপস্যায় মহাদেব তুষ্ট হয়ে বর দিয়ে বলেন যে, দ্রুপদ কন্যা সন্তান লাভ করবেন এবং পরে উক্ত সন্তানই পুত্ররূপ লাভ করবে। এর কিছুদিন পর দ্রুপদরাজর একটি কন্যা জন্মগ্রহণ করলেও, রাজা পুত্রোচিত জাতকর্ম সম্পন্ন করেন এবং তাঁর একটি পুত্র হয়েছে বলে প্রচার করেন। পরে মহাদেবের বরে শিখণ্ডী পুরুষই হবে ভেবে, দ্রুপদের স্ত্রী হিরণ্যবর্মার কন্যার সাথে শিখণ্ডীর বিবাহ দেন। কিছুদিন পরে হিরণ্যবর্মা কন্যার কাছ থেকে জানেন যে, শিখণ্ডী মূলত কন্যা। এই কারণে দ্রুপদের বিরুদ্ধে ইনি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু শিখণ্ডী এই যুদ্ধ ও পিতামাতার দুঃখ থেকে রক্ষা করার জন্য আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যে নিকটস্থ একটি বনে যান। এই সময় এই বনে কুবেরের স্থূণাকর্ণ নামক এক যক্ষ অনুচর বাস করতেন। ইনি শিখণ্ডীর কাছে থেকে তাঁর দুঃখের কথা জেনে, কিছুকালের জন্য নিজের পুরুষত্ব শিখণ্ডীকে দান করেন। এই কারণে, তত্ক্ষণাৎ স্থূণাকর্ণ নারীতে পরিণত হন।
এরপর শিখণ্ডী তাঁকে বলেন যে, তিনি হিরণ্যবর্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধে পিতাকে সাহায্য করে ফিরে এসে তার পুরুষত্ব প্রত্যার্পণ করবেন। কিছুকাল পরে কুবের স্থূণাকর্ণের কাছে এসে স্থূণাকর্ণের স্ত্রীতে পরিণত হওয়া দেখতে পান। এই কারণে কুবের ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁকে শাপ দেন যে, সে যেন চিরকাল স্ত্রী হয়ে বাস করে এবং শিখণ্ডী পুরুষ হয়েই থাকে। শিখণ্ডীর মৃত্যুর পর সে যেন তার পূর্বরূপ প্রাপ্ত হয়।
এরপর শিখণ্ডী দ্রোণাচার্যের কাছে অস্ত্রবিদ্যা ও ধনুর্বেদ শিক্ষা করেন। এই সময় ইনি রথীশ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু ভীষ্ম কিছুদিন পর জানতে পারলেন যে, অম্বাই শিখণ্ডীরূপে দ্রুপদ রাজার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পূর্বে ভীষ্ম প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, স্ত্রীলোক, ক্লীব, যে স্ত্রী পুরুষ হয়েছে ও অস্ত্রহীনের সাথে তিনি কখনও যুদ্ধ করবেন না। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের দশদিন পর যুদ্ধক্ষেত্রে শিখণ্ডী নয়টি তীক্ন বাণ দ্বারা তাঁর বক্ষ বিদ্ধ করেন এবং তাঁকে সম্মুখে রেখে অর্জুন ভীষ্মকে শরাঘাতে জর্জারিত করেন। ঘুমন্ত পাণ্ডব শিবিরে অশ্বত্থামা প্রবেশ করে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে থাকলে, দ্রৌপদীর পাঁচ পুত্রের সাথে ইনিও জেগে উঠেন এবং অশ্বত্থামার উপর বাণ বর্ষণ করতে থাকেন। এই সময় অশ্বত্থামা খড়গাঘাতে শিখণ্ডীকে হত্যা করেন।
শিখিধ্বজ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে– রত্নবতীপুরের
রাজা এবং পরম বিষ্ণুভক্ত।
কৃষ্ণকে দেখার জন্য ইনি যুধিষ্ঠিরের যজ্ঞের অশ্ব ধরেছিলেন।
পরে ইনি এই সূত্রে শ্রীকৃষ্ণের দর্শনলাভ করেন।