শুনঃশেফ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
১.
রাজা অজীতগর্ভের দ্বিতীয় পুত্র।
ঐতরেয় ব্রাহ্মণের মতে,
ইক্ষ্বাকুবংশীয় রাজা হরিশ্চন্দ্র বরুণের কাছে উৎসর্গ করার শর্তে রোহিত নামক একটি
পুত্র লাভ করেন।
রোহিত বিষয়টি জানতে পেরে পালিয়ে যান।
সেখানে তাঁর অজীতগর্ভের সাথে পরিচয় হয়।
এই ঋষির তিনটি পুত্র ছিল।
রোহিত ঋষিকে ১০০টি গাভী দান করে তাঁর দ্বিতীয় পুত্র শুনঃশেফকে ক্রয় করেন এবং এঁকে
নিজের পরিবর্তে উৎসর্গ করবেন বলে স্থির করেন।
বরুণ এঁকে গ্রহণ করতে রাজী হন,
কিন্তু শুনঃশেফ সেই সময় বিভিন্ন দেবতার পূজা-অর্চনা করে নিজেকে রক্ষা করতে থাকেন।
২.
রামায়ণের মতে,
ইনি ছিলেন ঋচিক মুনির মধ্যম পুত্র।
এক সময় অযোধ্যার রাজা অম্বরীষ অশ্বমেধ যজ্ঞের ব্যবস্থা করলে,
ইন্দ্র সেই যজ্ঞের পশু হরণ করেন।
অম্বীষের পুরোহিত বলেন,
রাজার দোষে পশু অপহৃত হওয়াতে রাজাকে নরবলি দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
রাজা নরবলির জন্য মানবসন্তান খুঁজতে খুঁজতে মহর্ষি ঋচিকের কাছে আসেন এবং ইনি এক
লক্ষ গাভীর মুল্যের পরিবর্তে ঋচিকের প্রথম ও কনিষ্ঠ পুত্রকে বিক্রয় করতে বললেন।
কিন্তু মহর্ষি তাঁর মাধ্যম পুত্র শুনঃশেফকে বিক্রয় করেন। শুনঃশেফ রাজা অম্বরীষের সাথে যাওয়ার সময় তাঁর মামা বিশ্বামিত্রকে পেয়ে তাঁকে রক্ষা করবার জন্য অনুরোধ করলেন।
বিশ্বামিত্র শুনঃশেফকে সান্ত্বনা দিয়ে নিজের পুত্রদের যজ্ঞের পশু হয়ে শরণাগত
শুনঃশেফের প্রাণরক্ষা করতে বললেন।
বিশ্বামিত্রের পুত্ররা পিতার এ আদেশ পালন করতে অস্বীকার করলে বিশ্বামিত্র অভিশাপ
দিয়ে বলেন যে,
তারা কুকুরের মাংস খেয়ে সহস্র বৎসর জীবনযাপন করবে।
তারপর তিনি শুনঃশেফকে বললেন যে,
অম্বরীষের যজ্ঞে বলির জন্য যখন প্রস্তুত করা হবে,
তখন সে যেন দুটি অগ্নিস্তুতি পাঠ করে।
এই উপদেশ মতো যজ্ঞে বলির সময় অগ্নি,
ইন্দ্র ও বিষ্ণুকে স্তব করলেন।
এই স্তব শুনে দেবতারা তাঁর দীর্ঘায়ু দান করে যজ্ঞাগ্নি হতে রক্ষা করলেন।