সরমা
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে এই নামে একাধিক চরিত্র রয়েছে। যেমন

. একটি কুকুর-মাতা জনমেজয় দীর্ঘসত্র (দীর্ঘকালব্যাপী যজ্ঞ) অনুষ্ঠান আরম্ভ করার সময় সরমার একটি পুত্র উক্ত অনুষ্ঠানের ভিতর প্রবেশ করে এই কারণে জনমেজয়-এর অপর তিন ভাই শ্রুতসেন, উগ্রসেন ও ভীমসেন ওই কুকুরকে প্রহার করে বিতারিত করেন এই কুকুরটি সরমার কাছে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ করলে, সরমা যজ্ঞস্থলে আসেন এবং বিনাকারণে প্রহার করার জন্য- জনমেজয়কে অভিশাপ দিয়ে বলেন যে- তোমরা নিরাপরাধকে প্রহার করেছ, অতএব অজ্ঞাত ভয় তোমাদেরকে আক্রমণ করবে
            [সূত্র:
মহাভারত। আদিপর্ব। তৃতীয় অধ্যায়। পৌষ্যপর্ব্ব-জনমেজয় শাপ]

ঋকবেদের মতে ইন্দ্রের কুকুর এঁর  দুটি পুত্রের নাম ছিল সারমেয় এই দুই কুকুরের প্রত্যেকের চারিটি করে চক্ষু ছিল এঁরা যমের কুকুর হিসাবে নরকপুরীতে অবস্থান করতো 

. মতে- ইনি ছিলেন গন্ধর্বরাজ শৈলুষের কন্যা মানস সরোবর তীরে এঁর জন্ম হয় বর্ষাকালে মানস সরোবরের জল সদ্যোজাতা কন্যার কাছে পৌঁছুলে, শৈলুষের স্ত্রী বলেন যে সরঃ মা বদ্ধত, অর্থাত্ সরোবর, আর বদ্ধিত হয়ো না পরে এই থেকে এই কন্যার নাম রাখা হয় সরমা এই কন্যার সাথে পরে বিভীষণের বিবাহ হয় ইনি আকাশপথে প্রচ্ছন্নভাবে সর্বত্র বিচরণ করতে পারতেন রাম সীতাকে অপহরণ করে অশোক বনে বন্দিনী হিসাবে রাখলে, সীতাকে ইনি সবসময় রক্ষা করে চলতেন বিদ্যুজ্জিহব যখন সীতাকে রামের মায়ামুণ্ড দেখান, তখন সরমা সীতাকে রামের কুশল সংবাদ দিয়ে সান্ত্বনা প্রদান করেছিলেন এঁর পুত্রের নাম ছিল তরণীসেন

. মহর্ষি কশ্যপের অন্যতমা স্ত্রী এঁর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিল- ভ্রমর, ভৃগুরোল, চরটা (ভিমরুল, বোলতা), পত ও মৌমাছি