সত্যব্রত
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক
কাহিনি মতে–
১. ইনি ছিলেন বিষ্ণুভক্ত জনৈক রাজর্ষি।
একটি কল্পের শেষে,
ব্রহ্মার নিদ্রাকালে একটি মহাপ্লাবনে পৃথিবীর সমস্ত লোক সমুদ্রজলে নিমগ্ন হয়।
এই সময় হয়গ্রীব নামক এক দানব সকল বেদ অপহরণ করেছিলেন।
বিষ্ণু মৎস্যাবতাররূপে হয়গ্রীবকে হত্যা করে বেদসকল উদ্ধার করেছিলেন।
এই অবতারে
বিষ্ণু প্রাথমিকভাবে একটি পূঁটি মাছরূপে কৃতমালা নদীতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
এই নদীতে সত্যব্রত তর্পণ করতে জলে নামলে,
তাঁর অঞ্জলিবদ্ধ হাতের ভিতর এই পূঁটিমাছ আবদ্ধ হয়ে পড়ে।
সত্যব্রত মাছটিকে জলে ফেলে দিতে উদ্যত হলে,
মাছটি পরম দয়ালু রাজাকে অন্যান্য জলজন্তুদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে বলেন।
ইনি প্রথমে একটি পাত্রে রেখে মাছটিকে প্রতিপালন করতে থাকেন।
কিন্তু মাছটির আকার ক্রমান্বয়ে বর্ধিত হতে থাকলে,
ইনিও আকার অনুসারে জলাধারের পরিবর্তন করতে থাকলেন।
শেষ পর্যন্ত মাছটি এক দিনেই একশ যোজন করে বৃদ্ধি পেতে দেখে,
ইনি অনুমান করলেন যে,
এই মাছ স্বয়ং বিষ্ণু।
এরপর ইনি মাছটির স্তব করলে,
বিষ্ণু তাঁকে একটি আসন্ন মহাপ্লাবনের কথা বলেন।
এরপর ইনি বিষ্ণুর প্রেরিত নৌকায় বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের বীজ সংগ্রহ করেন।
বন্যার সময় ইনি প্রলয় সমুদ্রে বিহার করতে করতে মৎস্যরূপী বিষ্ণুর কাছ থেকে বিভিন্ন
ধর্মীয় উপদেশ শোনেন।
সত্যব্রত বিষ্ণুর কৃপায় বিবস্বানের পুত্র হিসাবে মনু হয়ে জন্মেছিলেন।
২.
ভীষ্মের অপর নাম।